মোহাম্মদ আবুল হাশেম লামা বান্দরবান প্রতিনিধি: বান্দরবান পার্বত্য জেলাধীন লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নে প্রকাশ্যে দিবালোকে সন্ত্রাসী কায়দায় ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে ফেয়ারী এগ্রো’ বনজ ফলদ বাগানের গাছ, গরু, ছাগল, খামারের মাছ ও হাসসহ ১০ কোটি টাকার অধিক মূল্যের সম্পদ লুটপাট করা এবং বনজ ও ফলজ বাগান, গরু-ছাগলসহ আরও ১০ কোটি টাকার সম্পদ লুটপাট করার চলমান কার্যক্রম বন্ধে প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কার্যকরী হস্তক্ষেপ কামনা করে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন, এগ্রো কমপ্লেক্সের এস্টেট অফিসার গোলাম মোস্তফা। শনিবার (১৮ জানুয়ারী) সন্ধায় শহরের কুটুম বাড়ি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘বহু অর্থ ব্যয় করে লামা ফেয়ারী এগ্রো এর বাগান সৃজন, মৎস্য চাষসহ এগ্রো বেইজ উন্নয়ন মূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে এলাকার কর্মসংস্থান ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ফেয়ারী এগ্রোতে শতাধিক কর্মচারী নিয়মিত কাজ করছেন। স্থানীয় জনসাধারণ এই এগ্রো বেইজের মাধ্যমে উপকারভোগী হিসেবে নিয়োজিত রয়েছে। গত জুলাই-আগষ্ট/২০২৪ বিপ্লবের পর একটি সুযোগ সন্ধানী সন্ত্রাসীগোষ্ঠী লুটপাটের তান্ডব চালায়। চিহ্নিত এইসব লুটপাটকারীগণ খামারের প্রায় ২০০ শত উন্নত জাতের গরু, যাহার আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি টাকা, মৎস্য গোদার মাছ, যাহার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি টাকা, কয়েকশত ছাগল, যাহার আনুমানিক মূল্য ৫০ লক্ষ টাকা, হাঁস-মুরগি, যাহার আনুমানিক মূল্য ৫০ লক্ষ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। লুটপাটকারীগণ এই ফেয়ারী এগ্রো বেইজের দু’শত একর জায়গার মূল্যবান কাঠ কর্তন করে নিয়ে গেছে। যাহার আনুমানিক মূল্য ৫ কোটি টাকা। এই পর্যন্ত চিহ্নিত লুটপাটকারী সন্ত্রাসীগণ ১০ কোটি টাকার অধিক মূল্যের সম্পদ লুটপাট করে নিয়ে গেছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসনকে আমরা সময়ে সময়ে এই সকল বিষয়গুলো অভিযোগ আকারে জানিয়েছি। বর্তমানে স্থানীয় ও বহিরাগত সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দিয়ে গাছ কর্তন করে গাড়িযোগে সড়ক পথে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে। এখনও গাছ কর্তন করে পাচার অব্যাহত রেখেছে। শেখ আহাম্মদ গুনু নামক একজন লুটপাটকারী তার গাড়ি নং- ঢাকা ল-২১৮ যোগে ফেয়ারি বাগানের গাছ কর্তন করে পাচারকালে লামা বন বিভাগ গাড়িটি জব্দ করেছে। প্রতিদিন অসংখ্য গাছ কর্তন করে গাড়িযোগে কাঠ পাচার অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে ফেয়ারি এগ্রোতে অবশিষ্ট গাছ ও গরুসহ করছি’। অন্যান্য ফলজ ও বনজ বাগানের প্রায় ১০ কোটি টাকার মূল্যের সম্পদ লুটপাট করার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এদিকে লুটপাটকারীরা ফেয়ারী এগ্রো বেইজের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত কর্মচারী ও অন্যান্য দায়িত্ব পালনকারী লোকজনকে বাগান ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য মারাত্মক হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে বাগানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ চরমভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে। এই সকল লুটপাটকারীরা অন্তবর্তী সরকারের প্রশানকে বিতর্কিত করার জন্য এই লুটপাট কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে আমরা মনে করি। উপরোক্ত লুটপাটকারীগণ ফেয়ারী এগ্রো কমপ্লেক্সে সন্ত্রাসী কায়দায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে যাচ্ছে। তারা বলে বেড়াচ্ছে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নিয়ন্ত্রণে। এই বাস্তবতায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যদি তাদের লুটপাট বন্ধে এগিয়ে না আসে, তবে এই লুটপাটের ধারা বন্ধ করা সম্ভব হবে না। লুটপাটকারীগণ ফেয়ারী এগ্রো বেইজে সন্ত্রাসী কায়দায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা বলে বেড়াচ্ছে, প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নিয়ন্ত্রনে। আমরা এই সকল লুটপাট এবং গাছ কাটার বিষয়ে প্রতিটি মূহুর্তে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ, কেয়াজু পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ, লামা বন বিভাগের কর্মকর্তাসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করে যাচ্ছি। লিখিত ভাবে থানায় এজাহার দায়ের করেছি। মিডিয়ায় প্রকাশ করে সরকার ও প্রশাসনের দৃষ্টি কামণা।