স্টাফ রিপোর্টারঃ- পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ২ নং গোলখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ বলইবুনিয়া দাখিল মাদরাসার নতুন ভবন নির্মাণের সুবিধার্তে পুরাতন ভবন অপসারণ করার ফলে অন্যস্থানে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবস্থা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে বার্ষিক পরীক্ষা দিচ্ছে। এতে রোদের তাপ ও বাইরের প্রতিকূল পরিবেশে নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্টে তাদের পরীক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচতলা ব্যবহারের জন্য ওই মাদরাসার সুপার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত আবেদন করেন।
জানা গেছে, দক্ষিণ বলইবুনিয়া দাখিল মাদরাসার ভবনের পাশে দক্ষিণ বলইবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (কাম সাইক্লোন সেল্টার) ভবনের নিচতলা মাদরাসা শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবহারের জন্য মাদরাসার সুপার মোহাম্মদ আব্দুল মালেক গত ২০ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান বরাবরে লিখিত আবেদন করেন, মাদরাসা সুপারকে মাদরাসার নতুন ভবন নির্মাণাধীন সময়ে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচতলা ব্যবহারের জন্য ইউএনও লিখিত আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করে অনুমতি দেন।কিন্তু এতে বাধা প্রদান করেন দক্ষিণ বলইবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বাবুল হোসেন, বাধ্য হয়ে গত ২৪ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত মাদরাসার শিক্ষাথীদের বার্ষিক পরীক্ষা কার্যক্রম খোলা আকাশের নিচে চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইফতেদায়ী থেকে দাখিল পর্যন্ত দক্ষিণ বলইবুনিয়া দাখিল মাদরাসার মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৫০ এর উপরে।
দক্ষিণ বলইবুনিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মোহাম্মদ আব্দুল মালেক বলেন, আমরা মাদরাসার শিক্ষকরা ইউএনওর অনুমতিপত্র সঙ্গে নিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল হোসেনের কাছে গিয়ে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচতলা সাময়িক ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করি, কিন্তু বাবুল হোসেন কোনক্রমেই তার বিদ্যালয় ভবনের নিচতলা ব্যবহার করতে দেননি।
এ বিষয়ে দক্ষিণ বলইবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বাবুল হোসেনের মুঠোফোনের নম্বরে একাধিকবার কল করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, আমি দক্ষিণ বলইবুনিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মোহাম্মদ আব্দুল মালেককে পাশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচতলা মাদরাসার শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছি, ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ফোনে না পেয়ে সহকারী এক শিক্ষককে আমি মৌখিকভাবে বলেছি, এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।