1. [email protected] : Gk Russel : Gk Russel
  2. [email protected] : stnews :
কলাপাড়ায় শের-ই বাংলা নৌ ঘাঁটিতে নৌবাহিনীর নবীন নাবিকের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত - শিক্ষা তথ্য
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পটিয়ায় খাজা গরীবে নেওয়াজ ওরশ পরিচালনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত গোগনগরে জাকের পার্টির ইসলামী মিশনসভা জলসা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে বিদেশি পিস্তলসহ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে পুলিশ আটক -০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমানের জায়গা জবর দখল ও হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন মুন্সীগঞ্জে পাল সাম্রাজ্যের মতো শাসন ছিলো মিরকাদিমে পালিয়েছে শাহিন তথ্যমেলায় মুজিববর্ষের লিফলেট ও শেখ হাসিনার বাণী প্রচার: ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগেঞ্জ জিংক ধানের সম্প্রসারণে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও বীজ বিতরণ রোয়াংছড়িতে নোয়াপতং ইউনিয়নের বিএনপি’র সচেতনতামূলক সমাবেশ পটিয়ায় সড়কে ঝরলো দুই প্রাণ বাস- মিনিবাস পিছনে ধাক্কা বহুল কাঙ্খিত গলাচিপা সেতুটি হলে কমবে পথ, বাঁচবে সময়

কলাপাড়ায় শের-ই বাংলা নৌ ঘাঁটিতে নৌবাহিনীর নবীন নাবিকের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৮ Time View
কলাপাড়া (পটুয়াখালী): বর্ণাঢ্য শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হলো বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বি/২০২৪ ব্যাচের ৪৪০ জন নবীন নাবিকের বুটক্যাম্প প্রশিক্ষণ। এ উপলক্ষে রবিবার (০১ ডিসেম্বর) পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বানৌজা শের-ই-বাংলা প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত মনোমুগ্ধকর কুচকাওয়াজে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্যারেড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। পরে তিনি কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী নবীন নাবিকদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
নৌবাহিনীর বি/২০২৪ ব্যাচের নবীন নাবিকদের মধ্যে মো. এ কে এম শাহাদত হোসেন সাদী পেশাগত ও সকল বিষয়ে সর্বোচ্চ ফল অর্জন করে সেরা চৌকস নাবিক হিসেবে ‘নৌপ্রধান পদক’ লাভ করে। মোঃ শাহীনুর আলম শিমুল দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ‘কমখুল পদক’ এবং সাব্বির রহমান তৃতীয় স্থান অধিকার করে ‘শের-ই-বাংলা পদক’ অর্জন করে।
নৌবাহিনী প্রধান নবীন নাবিকদের উদ্দেশ্যে তাঁর বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নৌ কমান্ডোদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ সহ কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করেন জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শাহাদাত বরণকারী সকল শহীদকে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উত্তরোত্তর উন্নয়নে ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে নৌবাহিনীকে যুগোপযোগী এবং প্রযুক্তি সম্পন্ন নৌবাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। যা দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সমুদ্রভিত্তিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। একটি সক্ষম ও শক্তিশালী নৌবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নৌবহরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আধুনিক যুদ্ধজাহাজ, স্পেশাল ফোর্স, হেলিকপ্টার, এমপিএ ও সাবমেরিন যুক্ত হয়েছে এবং কমিশনিং করা হয়েছে একাধিক নৌ ঘাঁটি। সক্ষমতা বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী আজ একটি আধুনিক ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী। এছাড়াও ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন নতুন ঘাঁটি, উন্নততর জাহাজ, আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।তিনি আরও বলেন, নৌবাহিনীর দক্ষ ব্যবস্থাপনায় শিপইয়ার্ডসমূহ নিজস্ব প্রযুক্তিতে জাহাজ নির্মাণ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত পাঁচটি প্যাট্রোল ক্রাফট ইতোমধ্যে নৌবহরে সংযুক্ত হয়েছে। নৌবাহিনীতে ২টি Unmanned Aerial Vehicle (UAV) ও ৩টি Landing Craft Tank (LCT) সংযোজনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং ২টি Utility Helicopter অতি শীঘ্রই বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যুক্ত হবে বলে নৌবাহিনী প্রধান আশা প্রকাশ করেন।
বর্তমান বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি যুগোপযোগী নৌবাহিনী গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন চৌকস ও প্রশিক্ষিত নাবিক। নৌবাহিনীর উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে নৌবাহিনী প্রধান নবীন নাবিক প্রশিক্ষণ বিদ্যালয় থেকে অর্জিত জ্ঞান যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে নিজেদের যোগ্য নাবিক হিসেবে গড়ে তোলার এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও অগ্রগতির পথে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান। পেশা হিসেবে দেশ সেবা ও দেশ গড়ার পবিত্র দায়িত্বকে বেছে নেওয়ায় নৌবাহিনী প্রধান নবীন নাবিকদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। সেইসাথে আজকের নবীন নাবিকরা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সুবিশাল সমুদ্রসীমা রক্ষার পাশাপাশি নতুন বাংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে নৌবাহিনী প্রধান আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মনোজ্ঞ এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী সদর দপ্তরের সহকারী নৌ প্রধান (পার্সোনেল) রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, সহকারী নৌ প্রধান (মেটেরিয়াল) খন্দকার আক্তার হোসেন, সহকারী নৌ প্রধান (লজিস্টিকস) মো. জহির উদ্দিন, কমান্ডার ঢাকা নৌ অঞ্চল রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, খুলনা অঞ্চলের এরিয়া কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল গোলাম সাদেক, বানৌজা শের-ই-বাংলা নৌঘাঁটির অধিনায়ক কমোডর এহসান উল্লাহ খানসহ উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, পটুয়াখালী, বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং নবীন নাবিকদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১২ জুলাই বানৌজা শের-ই বাংলা নৌ ঘাঁটি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে। ৫১৫ একর জমিতে এ নৌ ঘাঁটি স্থাপন করা হয়েছে। নৌবাহিনীর বুট ক্যাম্প প্রশিক্ষণ এ ঘাঁটিতে হয়। এ পর্যন্ত এ নৌ ঘাঁটি থেকে ৪টি ব্যাচ সফল ভাবে প্রশিক্ষণ শেষ করে। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সাইবার প্লানেট বিডি