1. [email protected] : Gk Russel : Gk Russel
  2. [email protected] : stnews :
স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলে তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত-মির্জা আব্বাস - শিক্ষা তথ্য
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ০৭:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বেনাপোলে আটক ‘মোল্লারহাটের আওয়ামীলীগ নেতা’ রেজাউল কবির চেয়ারম্যান কলাপাড়ায় শিক্ষক সমিতির পূর্বমিলনী ও ঈদ উপহার বিতরণ শার্শায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত, আহত ১ পবিত্র ঈদুল আযহা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন লতা গ্রুপ অফ কোম্পানির চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফাহিম ভুয়া ডিবি পরিচয়ে প্রতারণা মুলহোতা সোহেল গ্রেপ্তার ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে তালতলীতে যৌথ বাহিনীর কঠোর চেকপোস্ট, তল্লাশি ও অভিযান ফতুল্লা জলাবদ্ধতা সহ রাস্তাঘাটের সমস্যা সমাধানে ডিসি ইউএনওর কাছে জামায়াতের আবেদন তালতলীর আন্ধারমানিক নদীতে ১০ কেজির কোরাল! কুয়াকাটায় বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ফলজ ও বনজ চারা বিতরন বন্দরে সিএনজি স্ট্যান্ড শ্রমিক কল্যাণ সমবায় সমিতির উদ্যোগে জিয়ার শাহাদাত বার্ষিকী পালন

স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলে তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত-মির্জা আব্বাস

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ১১৬ Time View
স্টাফ রিপোর্টারঃ- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, কোনোভাবেই জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন নয়। যারা আগে স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলছেন তাদের উদ্দেশ্যে দুরভিসন্ধিমূলক, ষড়যন্ত্রমূলক। তিনি বলেন, আমরা লড়াই সংগ্রাম করেছি জাতীয় নির্বাচনের জন্য। আজকে কেনো স্থানীয় নির্বাচন? এটি হলে যাদের গ্রামেগঞ্জে পায়ের তলায় মাটি নেই, তাদের প্রতিষ্ঠিত করার পাঁয়তারা। মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ার খানপুর রোডে জেলা বিএনপি আয়োজিত দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি প্রতিবাদে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের দাবিতে এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা আব্বাস বিডিআর হত্যাযজ্ঞ প্রসঙ্গে বলেন, এই হত্যার বিচারের নামে প্রহসন করা হয়েছে। বিনা অপরাধে প্রায় দেড় দশক সাধারণ সিপাহীদের আটক রাখা হয়েছে। সেদিন প্রশিক্ষিত একটি প্রাতিষ্ঠানিক গ্রুপ তাদের হত্যা করেছে। যাদের বিচার হয়েছে তারা নির্দোষ। জেলের ভিতর তাদের কান্না দেখে নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারি নাই। যারা শাহাদাত বরণ করেছে তাদের ফেরত আনতে পারবো না। সত্যিকারের দোষীদের আড়াল করতেই নির্দোষদের ফাঁসানো হয়েছে। যারা বিনাদোষে আটক রয়েছে তাদের কেনো ছাড়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহ। ছিনতাই খুন রাহাজানিতে অতিষ্ঠ দেশবাসী। কিন্তু কারা এগুলো করছে? কারা বলেছিলো দিনের বেলায় চলতে না পারলে আমরা রাতে কাউকে চলতে দিবো না। ভারতে বসে এদেশকে অস্থির করার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু এগুলো করে দেশের মানুষের ঐক্য ভাঙ্গা যাবে না। দেশের মানুষকে শান্তিতে ঘুমাতে দিবেন না। দেশের মানুষ ছেড়ে আপনাদের দিবে না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এই সরকার যখন ক্ষমতায় আসে আমরা সমর্থন করেছিলাম। বলেছিলাম এই সরকার ব্যর্থ হলে দেশ ব্যর্থ হবে। তাই বলে আজীবন ক্ষমতায় থাকার ম্যান্ডেট কেউ আপনাদের দেয়নি। আব্বাস বলেন, কয়েকজন ভদ্রলোক আছেন, তারা বলেন- যারা নির্বাচন চান তারা দেশের ভালো চান না। কোথায় ছিলেন আপনারা। ১৭টি বছর আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। হাজার হাজার মানুষ শহীদ হয়েছে, গুম হয়েছে। আমরা নির্বাচন চাই ক্ষমতায় আসার জন্য নয়, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য।তিনি বলেন, একশ্রেণির লোক বিএনপিকে নিয়ে বিষোদ্‌গার করছেন। অপকর্ম করছে একজন, আর নাম পড়ছে বিএনপির। বিএনপির জনপ্রিয়তা দেখে আজকে কতিপয় দল বিএনপিকে আওয়ামী লীগের দিকে ধাবিত করছে, ভারতের দালাল বানানোর চেষ্টা করছে। বিএনপি যদি ভারতের দালালি করতো তাহলে জিয়াউর রহমানকে জীবন দিতে হতো না। বিএনপি একটি বড় দল। এখানে কয়েকজন চাঁদাবাজ দখলবাজ থাকতে পারে। তাদের অবস্থান বিএনপিতে নেই। তাদেরকে আইনের হাতে সমর্পণ করুন। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, দ্রব্যমূল্য অসহনীয় হয়ে পড়েছে। সরকার সংস্কারের কথা বলছেন। হাতে কাছে যে সংস্কার আছে তা করছেন না কেনো? হাসিনার পতনের দুইদিন আগে ব্যাবসায়িক সিন্ডিকেটরা কে কি বলেছে। একজন বলেছে আপনার নির্দেশের বাইরে আমরা যাবো না, আরেকজন বলেছে মৃত্যুর পরও আমরা আপনার সাথে আছি। সে সিন্ডিকেট কি ভেঙেছেন? যতদিন পর্যন্ত সে সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারবেন ততদিন দ্রব্যমূল্যসহ কিছুই নিযন্ত্রণে আসবে না। বরং বর্তমান সরকারের আশীর্বাদ পুষ্ট অনেকে তাদের অফিসে গিয়েছেন। সেসব সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা আছে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। কেউ কেউ বলছেন, নির্বাচনের কথা যারা বলে তারা জাতির শত্রু। তাহলে বলে দেন বাংলাদেশে আর নির্বাচনের দরকার নেই। হাসিনা যেভাবে দেশ চালিয়েছে সেভাবেই চালান। দেখি পারেন কিনা? জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের সভাপতিত্বে জনসভায় ঢাকা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু, নজরুল ইসলাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা মাহমুদুর রহমান সুমন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দিপু ভূইয়া, মাসুকুল ইসলাম রাজু, কাজী মনিরুজ্জামান মনিরসহ জেলা ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সাইবার প্লানেট বিডি