1. [email protected] : Gk Russel : Gk Russel
  2. [email protected] : stnews :
স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলে তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত-মির্জা আব্বাস - শিক্ষা তথ্য
বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
অ‌বৈধ বালু উ‌ত্তোল‌নের দা‌য়ে ৫ বালু ব্যবসায়ীকে কারাদণ্ড আমতলী বন্দর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত গলাচিপায় ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ রূপগঞ্জে জাইদুলের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে কলাপাড়ায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন এখনও বেপরোয়া রূপগঞ্জের ভুমিদস্যু আরমান অধিকার আদায় ও হয়রানি বন্ধের দাবিতে স্বেচ্ছায় কারাবরণের আলটিমেটাম দিলেন গণঅধিকার পরিষদ নেতা অন্তর বেলকুচি বহুমুখী মহিলা ডিগ্রি কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রূপগঞ্জে হাইওয়ে পুলিশের আটক বাণিজ্য স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলে তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত-মির্জা আব্বাস

স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলে তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত-মির্জা আব্বাস

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ২১ Time View
স্টাফ রিপোর্টারঃ- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, কোনোভাবেই জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন নয়। যারা আগে স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলছেন তাদের উদ্দেশ্যে দুরভিসন্ধিমূলক, ষড়যন্ত্রমূলক। তিনি বলেন, আমরা লড়াই সংগ্রাম করেছি জাতীয় নির্বাচনের জন্য। আজকে কেনো স্থানীয় নির্বাচন? এটি হলে যাদের গ্রামেগঞ্জে পায়ের তলায় মাটি নেই, তাদের প্রতিষ্ঠিত করার পাঁয়তারা। মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ার খানপুর রোডে জেলা বিএনপি আয়োজিত দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি প্রতিবাদে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের দাবিতে এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা আব্বাস বিডিআর হত্যাযজ্ঞ প্রসঙ্গে বলেন, এই হত্যার বিচারের নামে প্রহসন করা হয়েছে। বিনা অপরাধে প্রায় দেড় দশক সাধারণ সিপাহীদের আটক রাখা হয়েছে। সেদিন প্রশিক্ষিত একটি প্রাতিষ্ঠানিক গ্রুপ তাদের হত্যা করেছে। যাদের বিচার হয়েছে তারা নির্দোষ। জেলের ভিতর তাদের কান্না দেখে নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারি নাই। যারা শাহাদাত বরণ করেছে তাদের ফেরত আনতে পারবো না। সত্যিকারের দোষীদের আড়াল করতেই নির্দোষদের ফাঁসানো হয়েছে। যারা বিনাদোষে আটক রয়েছে তাদের কেনো ছাড়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহ। ছিনতাই খুন রাহাজানিতে অতিষ্ঠ দেশবাসী। কিন্তু কারা এগুলো করছে? কারা বলেছিলো দিনের বেলায় চলতে না পারলে আমরা রাতে কাউকে চলতে দিবো না। ভারতে বসে এদেশকে অস্থির করার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু এগুলো করে দেশের মানুষের ঐক্য ভাঙ্গা যাবে না। দেশের মানুষকে শান্তিতে ঘুমাতে দিবেন না। দেশের মানুষ ছেড়ে আপনাদের দিবে না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এই সরকার যখন ক্ষমতায় আসে আমরা সমর্থন করেছিলাম। বলেছিলাম এই সরকার ব্যর্থ হলে দেশ ব্যর্থ হবে। তাই বলে আজীবন ক্ষমতায় থাকার ম্যান্ডেট কেউ আপনাদের দেয়নি। আব্বাস বলেন, কয়েকজন ভদ্রলোক আছেন, তারা বলেন- যারা নির্বাচন চান তারা দেশের ভালো চান না। কোথায় ছিলেন আপনারা। ১৭টি বছর আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। হাজার হাজার মানুষ শহীদ হয়েছে, গুম হয়েছে। আমরা নির্বাচন চাই ক্ষমতায় আসার জন্য নয়, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য।তিনি বলেন, একশ্রেণির লোক বিএনপিকে নিয়ে বিষোদ্‌গার করছেন। অপকর্ম করছে একজন, আর নাম পড়ছে বিএনপির। বিএনপির জনপ্রিয়তা দেখে আজকে কতিপয় দল বিএনপিকে আওয়ামী লীগের দিকে ধাবিত করছে, ভারতের দালাল বানানোর চেষ্টা করছে। বিএনপি যদি ভারতের দালালি করতো তাহলে জিয়াউর রহমানকে জীবন দিতে হতো না। বিএনপি একটি বড় দল। এখানে কয়েকজন চাঁদাবাজ দখলবাজ থাকতে পারে। তাদের অবস্থান বিএনপিতে নেই। তাদেরকে আইনের হাতে সমর্পণ করুন। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, দ্রব্যমূল্য অসহনীয় হয়ে পড়েছে। সরকার সংস্কারের কথা বলছেন। হাতে কাছে যে সংস্কার আছে তা করছেন না কেনো? হাসিনার পতনের দুইদিন আগে ব্যাবসায়িক সিন্ডিকেটরা কে কি বলেছে। একজন বলেছে আপনার নির্দেশের বাইরে আমরা যাবো না, আরেকজন বলেছে মৃত্যুর পরও আমরা আপনার সাথে আছি। সে সিন্ডিকেট কি ভেঙেছেন? যতদিন পর্যন্ত সে সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারবেন ততদিন দ্রব্যমূল্যসহ কিছুই নিযন্ত্রণে আসবে না। বরং বর্তমান সরকারের আশীর্বাদ পুষ্ট অনেকে তাদের অফিসে গিয়েছেন। সেসব সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা আছে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। কেউ কেউ বলছেন, নির্বাচনের কথা যারা বলে তারা জাতির শত্রু। তাহলে বলে দেন বাংলাদেশে আর নির্বাচনের দরকার নেই। হাসিনা যেভাবে দেশ চালিয়েছে সেভাবেই চালান। দেখি পারেন কিনা? জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের সভাপতিত্বে জনসভায় ঢাকা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু, নজরুল ইসলাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা মাহমুদুর রহমান সুমন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দিপু ভূইয়া, মাসুকুল ইসলাম রাজু, কাজী মনিরুজ্জামান মনিরসহ জেলা ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সাইবার প্লানেট বিডি