সাজ্জাদ আহমেদ মাসুদ, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় খাদ্যবান্ধব ওএমএস ও ফেয়ার কার্ড ডিলার নিয়োগকে
কেন্দ্র করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান সিকদারের অপসারণের দাবিতে পক্ষে-বিপক্ষে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় গলাচিপা থানার সামনে সাধারণ শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের জনগণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান সিকদারের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী শাহ জুবায়ের আব্দুল্লাহ, তানভীর হাসান, রাশেদুল হাসান, ইয়াকুব হাসান, সাইফুল ইসলাম, নাসাউল নাসু, নাজমুল হাসান প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর, দুর্নীতিগ্রস্ত, ইসলাম ও জনগণের শত্রু, জুলাই বিপ্লবের চেতনা বিরোধী গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান সিকদারকে অবিলম্বে অপসারণের জন্য ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাই। দাবি মানা না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। অপরদিকে, দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সামনে বিএনপ্#ি৩৯;র সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত আলহাজ¦ শাহজাহান খানের গ্রুপ এবং গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের গ্রুপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা যাতে স্বপদে বহাল থাকে তার পক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সদস্য কামাল হোসেন, উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সদস্য মো. মাইম উদ্দিন, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক মো. ইমরান হোসেন প্রমুখ। কামাল হোসেন বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। আমাদের দলের নির্দেশনায় আমরা কোন টাকা-পয়সা ছাড়া ডিলারশীপ পেয়েছি। কিন্তু কিছু কুচক্রী মহল স্যারের বিরুদ্ধে স্বড়যন্ত্র করছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। গোপন সূত্রে জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা খাদ্য অফিসার অনেকের কাছ থেকে ডিলারশিপ দিবে বলে গোপনে উৎকোচ গ্রহণ করেন বলে স্থানীয় লোকজনের মুখে শোনা যায়। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা বিএনপি, জামায়াতে ইসলাম, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ, গণধিকার পরিষদ প্রত্যেক দলের ভিতরেই কিছুটা উত্তেজনা বিরাজ করছে। উক্ত বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে।