মোঃ সুজন বেপারী – মুন্সিগঞ্জে বিখ্যাত ডায়মন্ড আলু গতবছর তুলনায় এবছরে আলুর ফলন ভালো হলেও দাম না থাকায় হতাশায় কৃষক। উৎপাদিত আলু হিমাগারে মজুত রাখতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের। তাদের দাবি, অন্য জেলার আলু টঙ্গীবাড়ীর হিমাগারগুলোতে মজুত করে রাখা হচ্ছে। এতে করে জায়গা পাচ্ছে না তারা।
২১ই মার্চ শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন হিমাগারে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের মধ্যেই ট্রাক, লরি, ট্রলি, অটোরিকশার দীর্ঘ লাইন। সেসব যানবাহনে রয়েছে আলু। হিমাগারে আলু রাখতে ছুটছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে জায়গা পাচ্ছেন না তারা।
বিশেষ করে সদর উপজেলার চরাঞ্চলের চরকেওয়ার, বাংলাবাজার, মোল্লাকান্দি, শিলই, আধারা, মহাকালি, বজ্রযোগিনী, রামপাল ইউনিয়ন; টুঙ্গিবাড়ী উপজেলার আলদি, ধামারণ, কাঠাদিয়া, শিমুলিয়া, যশলং, ধীপুরসহ বিভিন্ন গ্রাম এবং সিরাজদিখান, লৌহজং, গজারিয়া ও শ্রীনগর উপজেলা জুড়েও কৃষকের ব্যস্ততার দৃশ্য লক্ষ করা গেছে। তাদের সঙ্গে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বিভিন্ন জেলার পুরুষ-নারী শ্রমিক ও কৃষকের পরিবারের সদস্যরাও।
সিদ্ধেশ্বরী কোল্ড স্টোরেজ ম্যানেজার ফখরুল জানান, তাদের ১৩ হাজার টন আলু রাখার জায়গা রয়েছে। এর মধ্যে ৯ হাজার টন আলু মজুত হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যে তাদের হিমাগার পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। প্রতি বস্তা আলুর ভাড়া ধরা হয়েছে ৩০০ টাকা।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, উপজেলায় ২৭টি হিমাগার রয়েছে, যার মধ্যে সচল ২৪টি। এসব হিমাগারের ধারণ ক্ষমতা দুই লাখ ২৫ হাজার ৯০ টন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়নুল আলম তালুকদার জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৯ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। আলুর ফলন ভাল হওয়ায় দুই লাখ ৭৪ হাজার টনের চেয়েও বেশি উৎপাদন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। কিছু জমিতে এখনও আলু উত্তোলনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।