মোঃ ফরহাদ হোসেন বাবু: আলুর ফলন ভালো হলেও লোকসান গুনছেন উৎপাদনকারি কৃষক এমনটাই দাবী করছেন পটুয়াখালী জেলার আলু উৎপাদন কৃষকগন।পটুয়াখালী জেলায় আলু উৎপাদনকারি কৃষকের সংখ্যা প্রতিবছর বাড়ছে। চলতি বছরে জেলায় প্রায় ১০৩৩ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে যার উৎপাদন লক্ষমাত্রা প্রায় ৩৩০৫৬ মেট্রিক টন, এর ভিতরে গলাচিপা উপজেলায় ৩৭০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়। উল্লেখ থাকে যে জেলার ১০৩৩ হেক্টর জমির ভিতরে বি এ ডি সি বীজ আলু উৎপাদনের জন্য ২৩২ একর জমি প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে যার উৎপাদন লক্ষমাত্রা ১২৫০ মেট্রিক টন । পটুয়াখালী জেলায় ৭৯ জন চুক্তিবদ্ধ কৃষকদের সরকার নির্ধারিত মূল্যের বিভিন্ন জাতের আলু বীজ প্রদান করেন বরিশাল বি এ ডি সি। প্রকল্পের উৎপাদিত আলু আগামী বছর বীজ হিসেবে বরিশাল হিমাগারে সংরক্ষণ করা হবে। সরেজমিনে দেখা গেছে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উৎপাদন লক্ষমাত্রার চাইতে বেশী ফলন হয়েছে। সংরক্ষণাগার ও রপ্তানিকারকদের সূত্র বলছে বাংলাদেশের উৎপাদিত আলু জাতের মধ্যে দু-একটি জাতের আলু বিদেশে রপ্তানি করা হয় কিন্তু তা উৎপাদন খুবই কম।
চলতি বছরে নেপালে রপ্তানিকৃত আলুর জাত হলো সান সাইন ও ভ্যালেন্সিনা যা দেখতে হলুদ রং এর এবং সহজেই সিদ্ধ হয়ে যায়। যদি-ও এ দুটি জাতের আলু আরো বেশি উৎপাদনের লক্ষ্যে বি এ ডি সি প্রকল্প বিভিন্ন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আলু অতি ধ্রুত পচনশীল পন্য তাই যোগানের চেয়ে বেশি উৎপাদন হওয়ায়তে হিমাগার সঙ্কটে পড়েছে চাষিরা। চাষিরা বলছেন প্রতি বছরের তুলনায় এবছর আলু উৎপাদন খরচ প্রায় দ্বিগুণ। খোলাবাজারের হিমায়িত বীজ আলু প্রতি কেজি প্রায় ১০০ টাকার অধিক মূল্যে ক্রয় করতে হয়েছে, এছাড়াও সার,জমির চাষ,সেচ, রোপন, উত্তোলন সহ বিগত বছরগুলোর এবছর অনেক বেশি। আলু উত্তোলনের পরে বাজারে ভালো দাম পাওয়াতে মারাত্মক দুশ্চিন্তায় ভুগছেন চাষিরা। ভালো দাম না পেলে খুব লোকসানের মুখে পড়বে চাষিরা সে-ই সাথে বিভিন্ন এনজিও ও মহাজনদের থেকে নেওয়া ঋন পরিষদ করতে পারবেনা বলে জানান আলু চাষিরা।
এবিষয়ে কে এম আখতার হোসেন, উপ পরিচালক (টিসি), আলু বীজ হিমাগার, বিএডিসি, বরিশাল বাংলাদেশের আলো কে বলেন, গতবছর আলুর দাম বেশি ছিলো এ বছরে কম এবং এরকমই হওয়ার কথা তবে দাম এতটা নিম্নমুখী হয়ত বেশিদিন থাকবেনা, বীজ আলু হিমাগারে তোলার পরে দাম বাড়তে পারে। খোলাবাজারে আলুর দাম নিম্নমুখী হওয়াতে কোনো সিন্ডিকেটের চক্রান্ত আছে কি না জানতে চাইলে বলেন হয়ত কিছুটা সিন্ডিকেট চক্রান্ত থাকতে পারে সেই সাথে বলেন যে আমাদের দেশের উৎপাদিত বেশিরভাগ আলু জাত ভেদে বিদেশে রপ্তানি করা যায়না যে কারনেই অতিমাত্রায় উৎপাদন হলে দাম কমে যায়।