1. [email protected] : Gk Russel : Gk Russel
  2. [email protected] : stnews :
অসুস্থ সন্তানকে বাচাঁতে স্বামীর সর্বোচ্চ অবহেলা সহ্য করছেন - শিক্ষা তথ্য
রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১২:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পটিয়ায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদৎবার্ষিকী আলোচনা সভায় ইদ্রিস মিয়া বন্দরে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রাজুর উদ্যোগে জিয়ার ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠিত জাকির খানের পক্ষ থেকে যুবদল নেতা ইমরানের উদ্যোগে জিয়ার ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন নাসিক ২২নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আতাহারের আয়োজনে জিয়ার ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন সাকসেস হিউম্যান রাইটস সোসাইটির উদ্যোগে মানবাধিকার বিষয়ক শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ঈদ উপহার উপলক্ষে অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে বিনামূল্যে ভিজিএফের চাল বিতরণ তারাকান্দায় গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে যুবক গ্রেফতার ফুলপুরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত বাউফলে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রূপগঞ্জে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উদযাপন

অসুস্থ সন্তানকে বাচাঁতে স্বামীর সর্বোচ্চ অবহেলা সহ্য করছেন

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৭৪ Time View

শেষে বিচারের আশায় আইনের দ্বারস্থ কলাপাড়ার রীনা।। কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।।পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ইউসুফপুর বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় চুক্তিভিক্তিক শিক্ষক মোসা: রীনা আক্তার(২৮)। উপজেলার পুরান মহিপুর এলাকার শহীদ চৌকিদারের ১ম সন্তান। ছোট দুই ভাই রয়েছে তার। বাবা সংসারে স্বছলতা আনতে প্রবাসী জীবন বেছে নিয়েছেন। মেঝ ভাই সেনা সদস্য মেহেদী হাসান(২৬) এবং ছোট ভাই মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। ১১ বছর আগে সম্পর্ক করে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউপির হলদিবাড়ীয়া গ্রামের মো.শাহ আলমের পুত্র মোহাম্মদ আলামিন (৩০) এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের রয়েছে আর-রাফি নামের ৫বছরের ১টি পুত্র সন্তান। ২০১৫ সালে বিয়ের আড়াই বছর পর্যন্ত শশুর বাড়িতে মেনে না নিলেও বাবার বাড়িতে ভালোই কাটছিল দাম্পত্য জীবন। অব্যাহত শ্বশুর বাড়ির নির্যাতন নীরবে সহ্য করছেন স্বামীর দিকে চেয়ে। পরে সন্তান মরনব্যাধী থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ায় এবং স্বামী অন্য নারীতে আসক্ত থাকায় তার জীবনে নেমে আসে অন্ধকারের ছায়া। স্বামীকে সরল পথে আনতে হাজারো ব্যার্থ চেষ্টা শেষে অবশেষে আদালতের শরনাপন্ন হয়েও মেলেনি প্রতিকার। এখনো স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকের হুমকি দামকি সহ্য করে বিপর্যস্ত তার জীবন। বিচারের আশায় জনপ্রতিনিধি ও সেনাবাহিনীর দ্বারস্থ হয়ে অবশেষে আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। 

জানা গেছে, নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যালে ১টি যৌতুক মামলা করেন রীনা। মামলায় ঈদের আগের রাতে তার স্বামী গ্রেফতার হয়। পরে ৩১ মার্চ ঈদের দিন দুপুরে উপজেলার মহিপুর থানার পুরান মহিপুর এলাকায় তার বাড়িতে রীনার শ্বশুর, দেবরসহ ৭জন মীমাংসার কথা বলতে যায়। কিন্তু তাদের সাথে থাকা মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক জামায়াত নেতার উস্কানিমূলক বক্তব্যর কারণে তা পন্ড হয়। তারা চলে যাওয়ার সময় তার দেবর মিশকাত রীনাকে গালি দেয় এবং মারতে আসে। তখন এলাকাবাসী এবং আত্নীয়রা তাকে বাধাঁ দেয়।এতে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এতে রীনার ভাই মেহেদী হাসান এবং দেবর মিশকাত গুরুতর আহত হয়ে মহিপুর থানা পুলিশের সহায়তায় কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ থেকে পৃথক মামলা হয়েছে। 

ভুক্তভোগী রীনা আক্তার জানান, হঠাৎ শ্বাশুড়ি অসুস্থ হয়ে পড়লে কলাপাড়া হাসপাতালে তার সেবা করে শ্বশুর বাড়িতে তার সেবার উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। সেখানে শাশুড়ী এবং বড় ননদ রুবিনা অমানবিক নির্যাতন করে। আমি আমার বাবার সাথে বাসার পিছনে দাঁড়িয়ে মোবাইলে কথা বলায় তারা নালিশ করে আমি অন্য কারো সাথে কথা বলেছি। শুনে স্বামী হত্যার উদ্দেশ্যে অনেক মার মারে। প্রতিবশী এসে না ছাড়ালে হয়তবা মরেই যেতাম। ২০২১সালের ৫ জানুয়ারি পুত্র সন্তান জন্ম নিলে আমি খুব অসুস্থ হয়ে পড়ি। নরমাল ডেলিভারিতে আমার অবস্থা খারাপ হওয়ার সাথে ছেলের মাথা এবং চোখ কালো হয়ে যায়। সন্তানের চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের চিকিৎসা শেষে ভারতের ভেলোর সিএমসি হাসপাতালেও গিয়েছি। যার অধিকাংশ টাকাই আমার বাবার কাছ থেকে নিতে বাধ্য করেছে। ভারত গিয়ে হাসপাতালে ফেলে রেখে উধাও হয়ে যায়। এরপর আমার বাবা একলাখ টাকা পাঠালে ফিরে আসে। ঢাকা গিয়ে চাকরি না পেয়ে চাইনিজ রেস্টুরেন্ট করবে বলে বাবার কাছ থেকে চার লক্ষ টাকা নেয়।

সেই টাকা নষ্ট করে আবার কুয়াকাটা এসে হোটেল রাখবে বলে বাবার কাছ থেকে টাকা নেয়। কুয়াকাটা হোটেলে থাকা অবস্থায় এক নারীর সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। সেই থেকে আমার উপর অত্যাচার আরও বেড়ে যায়। সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ করলে তাদের কাছে মুচলেকা দিয়ে নিয়ে আসে। বাড়িতে এসে আবার একই অবস্থা। আমি আদালতের মাধ্যমে এর সঠিক বিচার চাই। সেইসাথে দেশবাসীকে জানাতে চাই,অসুস্থ সন্তান এবং স্ত্রী রেখে কিভাবে একজন পুরুষ অন্যনারীতে আসক্ত থাকতে পারে। রীনার ভাই মেহেদী হাসান বলেন, আমার বোন জামাই পরকীয়ায় আসক্ত। যার প্রমাণ নিয়ে আমি একাধিক বার তাদের বাড়িতে গেছি, তাদের আত্মীয়দের সাথে কথা বলেছি। কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বাধ্য হয়ে আমরা মামলা দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, আমি যে বাড়ি আছি তারা তা জানতো না।

তাই জামায়াত নেতাসহ দলবল নিয়ে আমার ভাগ্নেকে অপহরণ এবং আমার বোনের কাছ থেকে জোর করে মুচলেকা নেয়ার জন্যই এসেছিল। আমি তাদেরকে আপ্যায়ন করেছি। শেষের দিকে তাদের একজন ঘরের মধ্যে ঢুকে আমার বোনকে টানাহেঁচড়া করে। আমি জোর করে তাকে বের করে নিয়ে আসি। এতে তারা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। আর তারা যখন যাচ্ছিল তখন আমার বোনকে মিশকাত অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। বোনকে মারতে গেলে তখন গ্রামবাসী এবং আমি তাকে উদ্ধার করতে যাই। তখন এলাকাবাসী এবং তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।  অভিযুক্ত আল আমিনের বাবা মো.শাহ আলম বলেন, আমার ছেলে গ্রেফতার হওয়ার পর থানায় যাই।

পুলিশের পরামর্শ মোতাবেক রীনার সাথে মীমাংসার জন্য ঈদের দিন ৭ জন তার বাড়িতে যাই। ফিরে আসার সময় রীনা তার ভাই এবং এলাকার মানুষ নিয়ে আমার ছেলের উপর হামলা করে। আমি সামনে গেলে আমাকেও আঘাত করবে বলে হুমকি দেয়। পরে ছেলের কান্না সহ্য করতে না পেরে আমি তার উপর শুয়ে পরি। পরে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে। মহিপুর থানার ওসি(তদন্ত) অনিমেষ হালদার বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ফোর্স পাঠিয়ে আহতকে উদ্ধার করা হয়েছে। উভয় পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি, সঠিক তদন্ত করে পরবর্তী প্রোয়জনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সাইবার প্লানেট বিডি