বন্দর প্রতিনিধিঃ বন্দরে মাদক ব্যবসায়ী রনি হত্যার ঘটনায় শুরুতেই ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা অভিযোগ উঠেছে। জড়িত নয়, এমন নিরীহ দুইজন ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে এমন অভিযোগ উঠেছে নিহত রনির স্ত্রী সিমু আক্তারের বিরুদ্ধে।
তারা হলেন, বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সেনপাড়া এলাকার হবি মিয়ার ছেলে মাসুদ প্রকাশ ডেনী মাসুদ ও ১নং মাধবপাশা এলাকার জয়নাল আবেদীন খন্দকারের ছেলে আব্দুল সাত্তার খন্দকার। আব্দুৃর সাত্তার খন্দকার ১নং মাধবপাশা পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সোমবার নিহতের স্ত্রী সিমু আক্তার বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ সহ আরো ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেফতারকৃত দুই আসামি মাসুদ প্রকাশ ডেনী মাসুদ ও আব্দুৃর সাত্তার খন্দকারকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
নিহত রনি বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ১নং মাধবপাশা সেনপাড়া এলাকায় ছলিমউদ্দিন ওরফে ছৈল্লা মিয়ার ছেলে।
এর আগে ৬ এপ্রিল মধ্য রাতে সন্দেহভাজন হিসেবে নারায়ণগঞ্জ ও বন্দর থেকে তাদের আটক করা হয়। এই ঘটনার পর সেনপাড়া এলাকাবাসী বন্দর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ভূক্তভোগী পরিবাররা জানান, রনি এলাকার চিহৃিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী তার বাহিনীর অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল। এর আগে ১৭ জানুয়ারি চিহৃিত রনি গংদের চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ের বিরুদ্ধে স্থানীয় এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ৪ গ্রামের শতশত নারী পুরুষ। তার বিরুদ্ধে পিস্তল উচিয়ে গুলি বর্ষণ করে মসজিদে হামলা করে দানবাক্স থেকে টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছিল এবং বন্দর থানায় একাধিক মাদক মামলাও রয়েছে। অথচ এই হত্যার সঙ্গে জড়িত নয় মাসুদ ও আব্দুল সাত্তার খন্দকার। চিহৃিত মাদক ব্যবসায়ী রনির স্ত্রী এলাকার নিরীহ লোকজনকে জড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আসামি করেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, সেনপাড়া এলাকায় চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী রনি বাহিনীর অত্যাচরে এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। রবিবার ৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় মাদক ব্যবসায়ী রনিকে ছুরিকাঘাতে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায়কে পুঁজি করে এলাকার পঞ্চায়েত কমিটি সহ নিরীহ লোকজনকে ফাঁসানোর জন্য তিনি এই মামলা করেছে।
উল্লেখ্য যে, রোববার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ১নং মাধবপাশা সেনপাড়া এলাকায় ছলিমউদ্দিন ওরফে ছৈল্লা মিয়ার ছেলে রনিকে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। পরে পথচারীরা মুহুর্ষূ অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ভিক্টোরিয়া নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সিমু আক্তার বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ সহ আরো ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন মামলায় বন্দরের মাধবপাশা গ্রামের হবি মিয়ার ছেলে মাসুদ প্রকাশ ডেনি মাসুদ, তার ভাই সুমন, মাহবুব, তার ছেলে রাসেল, একই এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে আবদুর সাত্তার খন্দকার ,মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে বশির এলাহী ও নেতা সেলিমের নাম উল্লেখ করা হয়।