মোঃ পন্ডিত হোসেন নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি, বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির অন্যতম সদস্য সেলিম মাহমুদকে গত ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২:১৫ টায় রূপগঞ্জ থানা শাখার র্যাব সদস্যরা নিজ বাসা থেকে অজ্ঞাত কারণে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের সময় কোনো পরোয়ানা বা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রদর্শন করা হয়নি বলে তার পরিবার ও সহকর্মীদের অভিযোগ। সেলিম মাহমুদ দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার, মজুরি বৃদ্ধি, কর্মস্থলে নিরাপত্তা ও শোষণ-বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছিলেন। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থে আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে। তিনি সর্বদা শ্রমিকদের পাশে থেকেছেন, কারখানা এলাকায় যখন কোনো শ্রমিককে অন্যায়ভাবে বরখাস্ত বা নির্যাতন করা হয়েছে, তখন সবার আগে ছুটে গেছেন তিনি।
শ্রমিকদের কাছে তিনি একজন পরম আস্থার স্থল, যার দরজা সবসময় খোলা থাকে শ্রমজীবী মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা শোনার জন্য। তার সততা, বিনয়, এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন মনোভাবের জন্য সাধারণ মানুষ ও সহকর্মীদের মধ্যে ছিল অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। বহুদিন ধরেই মালিক পক্ষের চোখে তিনি ছিলেন “অস্বস্তিকর” ব্যক্তি। তাঁর নেতৃত্বাধীন ন্যায্য আন্দোলনগুলো মালিক শ্রেণির একচেটিয়া লাভ ও শ্রমিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠিন প্রতিবাদ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই তার এই আকস্মিক গ্রেপ্তারকে অনেকে মনে করছেন একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ। শ্রমিক সংগঠনগুলো একযোগে সেলিম মাহমুদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে। তারা বলছেন, “সেলিম মাহমুদ কোনো অপরাধী নন, বরং তিনি হাজারো শ্রমিকের আশা-ভরসার নাম। তাকে আটকে রেখে আসলে শ্রমিকদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, শ্রমিকের পক্ষে কথা বলার ‘অপরাধে’ একজন সৎ নেতাকে যেন অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি না রাখা হয়।