বন্দর প্রতিনিধি: বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কর্মচারীরা কথিত আওয়ামীলীগ নেতা শাহজাহান মোল্লার অত্যাচারে অতিষ্ট।কর্মরত কথিত আওয়ামী লীগ নেতা শাজানাহান মোল্লার দূর্নীতি বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে হাসপাতালের কর্মচারীরা।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা বলেন, বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসিয়াল প্রতিটি কাজের জন্য তাকে ঘুষ দিতে হয়। আর ঘুষ না দিলে কাজ আটকিয়ে রাখে এ ব্যাপারে শাহজাহান মোল্লার বিরুদ্ধে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তার নিকট বিচার দিয়েছিলাম। ফলে স্যার শাহজাহান মোল্লা’কে বহুদিন অপমান করিয়াছেন এবং উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। কিন্তু তাহার কোন লজ্জ শরম নাই। সে একই কাজ বারবার করে যাচ্ছে। তিনি কথায় কথায় নিজেকে আওয়ামী লীগের সদস্য বলে জানান। তিনি করোনা কাল থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত অফিসের লক্ষ লক্ষ টাকা বিল করে আত্মসাৎ করেন। তাহার বিরুদ্ধে কেহ মুখ খুললে তাহাদেরকে নানা ভাবে কর্মচারীদের হুমকি দিয়ে থাকেন।
তারা আরো বলেন,বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালের কাপড় পরিষ্কারের কাজ ও খাবারের টেন্ডারের মাধ্যমে দায়িত্ব ছেড়ে দিলেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কথিত আওয়ামী লীগ নেতা শাজানাহান মোল্লার লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে টেন্ডারের পাইয়ে দেন আকিল নামে এক ব্যাক্তি’কে। বন্দরের বাগবাড়ি এলাকার আলহাজ্ব চুন্নু মাষ্টারের ছেলে ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ানের ভাই আকিল।
ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আকিল মিয়া নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিজের বানানো নিয়মে চালছে কার্যক্রম। শৌচাগারে রোগীর মলমূত্র পূজঁ আর রক্তমাখা ও বিছানার চাদর এসব কাপড় চোপড় হাসপাতালের বাহির থেকে পরিস্কার এবং লন্ড্রি করে হাসপাতালে পৌঁছে দেয়ার নিয়ম থাকলেও কোনো মতে পরিষ্কার করে হাসপাতালের ছাদেই শুকিয়ে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে হাসপাতালে।কোন নিয়ম তোয়াক্কা করছে না ওই ব্যাক্তি। এতে দুর্গন্ধে ভারি হয়ে উঠছে সেখানকার পরিবেশ।হাসপাতালে শৌচাগারে সখিনা নামে এক নারীকে কাপড় পরিস্কার করতে দেখা গেছে। তিনি এখানেই কাপড় পরিস্কার করে ছাদের উপর শুকাতে দিয়ে থাকে এবং কোন লন্ড্রি ছাড়াই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কাপড় বুঝিয়ে দেয় বলে জানা গেছে। এই বিষয় বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কর্মচারীরা কথিত আওয়ামীলীগ নেতা শাহজাহান মোল্লা’র কারণে এসবের বিষয়ে গুরুত্ব দেবার মতো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন নজরদারি। তবুও বছরের পর বছর এভাবেই চলছে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে হাসপাতালের কাপড় পরিচ্ছন্নের কাজ।
সুদু তাই নয় খাবারের ও রয়েছে সীমাহীন দুর্নীতি, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কথিত আওয়ামীলীগ নেতা শাহজাহান মোল্লা ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আকিল মিয়া নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিজেদের বানানো নিয়ম নীতিতে চালছে কার্যক্রম।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালের রুগীদের খাবার মানসম্পন্ন না। সেই সাথে সকালে রুগী ৫০ জন ভর্তি দেখিয়ে রাতে ২০ জন ও পাওয়া যায়নি।তবুও হিসাব রক্ষক বিল করেন ৫০ জনের।আর হাসপাতাল থেকে বছরের পর বছর এভাবেই লক্ষ লক্ষ টাকা বিল পাশ করে আত্মসাৎ করছে।
বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কাপড় পরিস্কার ও খাবারের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক শাজাহান মোল্লা’ র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই সব মিথ্যা কথা এই সব বিষয়ের সাথে আমি জড়িত নই।আমার কাছে ওয়ার্ড ইনচার্জ নার্স,আরএমও এবং টেন্ডার মালিক তাদের স্বাক্ষরিত বিল আমার কাছে জমা দিবে তাদের বিল মিলিয়ে দেখে আমি সঠিক বিল বানিয়ে আমি আমার স্যারের কাছে জমা দেই, স্যার দেখে স্বাক্ষর দিলে সেই বিল পাশ করার জন্য আমি আমাদের মূল অফিসে পাঠাই।
এবিষয় বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও বলেন, আমার কাজ হলো রুগীদের কি কি খাবার দিবে ও কতজনকে খাবার দিবে তার মেনু তৈরি করা,এবং প্রতিদিন সকালে ওয়ার্ড ইনচার্জ নার্স আমাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কত জন রুগী আছে তার তালিকা তৈরি করে দিবি সেটা সুদু আমি স্বাক্ষর দিয়ে দিবো। টেন্ডার মালিক কতজনকে খাবার দিলো না দিলো সেটা আমার দেখার কাজ নয়।
এ বিষয় আকিলের ব্যবহৃত নম্বরে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।