সিংগাইর,(মানিকগঞ্জ)প্রতিনিধি: ওসি, এসআইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় “Singai ps police Media” গ্রুপ থেকে রিমোভ করে দিলেন ওসি জেওএম তৌফিক আজম। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মানিকগঞ্জ সিংগাইর উপজেলার দুটি প্রেসক্লাবের সদস্যরাই যুক্ত আছেন। এই গ্রুপে সিংগাইর থানার প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের কাছে বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশ করেন।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দৈনিক ঢাকা প্রতিদিন ও আমার সংবাদ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধিকে রিমোভ করে দেন ওসি জেওএম তৌফিক আজম নিজেই। উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন আগে উপজেলার ধল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মাসুম বাদশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাহিদ ভূইয়াকে ইউনিয়ন পরিষদে বসিয়ে দেওয়ার জন্য গেলে মাসুম বাদশাকে স্থানীয় বিএনপির কিছু নেতাকর্মীরা মেরে হাত ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় সিংগাইর থানায় একটি মারামারির মামলা হয়।
এতে যাদেরকে আসামি করা হয় তাদের না পেয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জেওএম তৌফিক আজম ও এস,আই পার্থ শেখর ঘোষের নেতৃত্বে আসামি হুমায়ুনের ৮ মাসের গর্ভবতী স্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটিয়েছে। পরে আহত ওই নারী জেলা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে একাধিক জাতীয় দৈনিক প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের প্রধান (এ্যাডমিন) ওসি জেওএম তৌফিক আজম ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদকর্মী মোঃ জসিমউদদীন সরকার ও মোঃ হাবিবুর রহমান রাজিবকে গ্রুপ থেকে রিমুভ করে দিয়েছেন। এবিষয়ে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জেওএম তৌফিক আজম বলেন, আমি এই গ্রুপের প্রধান (এ্যাডমিন) আমার খুশি এখানে কাকে রাখবো না রাখবো।