সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আটগড়ের মৃত আব্দুল মতলিবের ছেলে মানিক মিয়াকে মোবাইল ফোন দেবার কথা বলে অলিখিত স্টাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে তার সহায় সম্পদ আত্মসাতের গভীর ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৮ই এপ্রিল বিকেলে । প্রতিপক্ষ হাসির আলীর বাড়িতে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে এমন প্রতারনার ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতারিত মানিক মিয়ার চাচাতো ভাই দবির মিয়া বাদি হয়ে গত ১৫ই এপ্রিল রোজ মঙ্গলবার পাশর্^বর্তী শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত ছাদ উল্ল্যাহ”র ছেলে সুর উদ্দিন,সুর উদ্দিনের ছেলে মামুন মিয়া,রিমন মিয়া,স্ত্রী খায়রুন নেছা,মেয়ে মণিরা বেগম জগন্নাথপুরের আসামপুরের আরমান আলীর ছেলে রকিবুর রহমান এবং জগন্নাথপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক হাসির আলীর নাম উল্লেখ করে অঞ্জাত আরো কয়েকজনকে আসামী করে আমল গ্রহনকারী হাকিম আদালত জগন্নাথপুর জোনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,আসামীগণ গত ৮ এপ্রিল বিকেলে সহজ সরল নিরীহ মানিক মিয়াকে প্রতারক হাসির আলীগংরা তাকে হাসির আলীর বাড়িতে নিয়ে যায়। একে অন্যর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় মোবাইল ও মিস কেনার কথা বলে রোগাক্রান্ত মনিক মিয়াকে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অলিখিত কয়েকটি স্ট্রাম্পে স্বাক্ষর আদায় করে নেন। মামলা দায়েরের পর বিঞ্জ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্তক্রমে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে থানার এস আই লুৎফুর রহমান স্পর্শকাতর মামলাটি তদন্ত করছেন। এ বিষয়ে দলিল লেখক হাসির আলীসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা রেজিস্ট্রার এবং সাব-রেজিস্ট্রার জগন্নাথপুর বরাবরে লিখিত অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
মামলার আসামীগণ বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে বলে মামলার বাদিপক্ষ সংবাদকর্মীদের জানান। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনজীবি,ড.মোহাম্মদ জিয়াউর রহিম শাহীন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে এবং বাদিপক্ষ ন্যায় বিচার পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জগন্নাথপুর থানার এস আই মোঃ লুৎফুর রহমান জানান,আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে এখানে কেউ প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারবে না। তদন্তে যা প্রমানিত হবে সেই আলোকে প্রতিবেদন দেয়া হবে।