নিজস্ব সংবাদদাতা: পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের দরগাবাড়ির সামনে এলাকায় মোঃ সালাউদ্দিনের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাট চালায় দূর্বিত্তরা । সে সময় বাড়িতে থাকা এস এস সি পরিক্ষার্থী সিমি (১৬) ও শিশু সোয়াইফ (১২) কে মারধর করে সন্ত্রাসীরা। ঘরে থাকা নগদ ১৫ লক্ষ টাকা ও ৯ লক্ষ টাকা মূল্যের স্বর্নলংকারসহ টিভি, ডিভিডি প্লেয়ার লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। গত পাঁচ মে সোমবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে পাচঁ তারিখ রাতেই বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সালাউদ্দিন’র বোন শাহানাজ (৪২)।
অভিযোগে জানা যায়- আমার ভাই মোঃ সালাউদ্দিন’র বিভিন্ন বিষয়াদী নিয়া পুরাতন বিরোধ আছে। আমার ভাইয়ের দুই ছেলে এক মেয়ে যথাক্রমে হাসিব (২০), সিমি (১৬), সোয়াইফ (১২) আছে। সিমি (১৬) এস এস সি পরিক্ষার্থী। আমার ভাই তার বড় ছেলে অসুস্থ হওয়ায় তাতে নিয়া স্ত্রী সহ ০৫/০৫/২৫ইং তারিখ বিকাল অনুঃ ০৩.০০ ঘটিকার সময় ডাক্তার দেখানোর জন্য ঢাকা যায়।
বাড়ীতে তার মেয়ে এবং ছোট শিশু সন্তান ছিল। পূর্ব বিরোধ নিয়া ৫ মে সোমবার সন্ধ্যা অনুঃ ০৬.৩০ ঘটিকার সময় বন্দর থানাধীন মুছাপুর সাকিনস্থ সকল বিবাদীরা একজোট হইয়া পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বে-আইনী জনতাবদ্ধে দেশীয় ধারালো অস্ত্র সস্ত্র ধারালো রাম দা চাপাতি ও বাঁশের লাঠি, কাঠের ডাসা, এবং লোহার রড নিয়া আমাদের বাড়ীতে প্রবেশ করতঃ আমার ভাইয়ের মেয়ে ও ছোট ছেলের উপর অতর্কিত হামলা করিয়া বাড়ীঘর ভাংচুর ও লুটপাত করিতে থাকে। বিবাদীরা আমার ভাইয়ের মেয়ে ও ছোট ছেলেকে এলোপাথারী ভাবে কিল, ঘুষি লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে।
বিবাদীরা আমার ভাইয়ের বসত ঘরের ড্রয়ারে থাকা নগদ ১৫,০০০০০/-টাকা এবং সাত ভরি স্বর্ন অলংকার যার মূল্য অনুঃ ৯,০০০০০/- টাকা জোর পূর্বক নিয়া যায়। আমার ভাইয়ের ছেলে মেয়েদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীরা বিভিন্ন ভয়ভীতি হুমকি প্রদর্শন করিয়া চলে যায়। আমি লোক মারফত সংবাদ পাইয়া ঘটনা স্থলে গিয়া আশেপাশের লোকজনের সহায়তায় আমার ভাইয়ের ছেলে মেয়েদের উদ্ধার করিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বন্দর নিয়া গিয়া চিকিৎসা করাই। বিবাদীরা এলাকার চিহ্নিতি খারাপ লোক।
বর্তমানে ভুক্তভোগীরা আতঙ্কে দিনযাপন করছে। বিশেষ করে মারধরের শিকার পরিক্ষার্থী সিমি পড়াশোনা এবং পরিক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পরেছে। দূর্বিত্তরা শুধু লুটপাটই চালায় নি পুড়েছে বই।
এ ঘটনায় মুছাপুর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এদিকে ৬ মে মঙ্গলবার অভিযোগের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত বন্দর থানার এ এস আই দেলোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।