নিজস্ব প্রতিবেদক:সাংবাদিক মোঃ রায়হান আহাম্মেদ ভূইয়ার নামে পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের নিতাইগঞ্জ শাখায় গোপনে একটি ভুয়া ব্যাংক একাউন্ট খুলে ১০ লক্ষ টাকার আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের সন্দেহভাজন হিসেবে উল্লেখ করে তিনি ১৮ মে ২০২৫ তারিখে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মোঃ রায়হান জানান, গত ৬ মে ২০২৫ তারিখে তাঁর ব্যক্তিগত মোবাইলে একটি এসএমএস আসে, যেখানে উল্লেখ ছিল পূবালী ব্যাংকের ভৈরব শাখা থেকে তাঁর নামে থাকা একাউন্টে ১০ লক্ষ টাকা জমা হয়েছে। অথচ তিনি কখনোই পূবালী ব্যাংকে কোনো একাউন্ট খোলেননি।
পরবর্তীতে বিষয়টি যাচাই করতে গিয়ে তিনি ৮ মে টানবাজার শাখায় যান। সেখানকার এক কর্মকর্তা মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে নিশ্চিত করেন যে, তাঁর নামে পূবালী ব্যাংকের নিতাইগঞ্জ শাখায় একটি একাউন্ট খোলা হয়েছে। নিতাইগঞ্জ শাখায় সরাসরি গেলে হেল্প ডেস্ক কর্মকর্তা পিয়াংকা জানান, “ভুলবশত টাকা জমা হয়েছিল এবং তা ফেরত দেওয়া হয়েছে।”
রায়হান জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটা আপনার টাকা না, তাই আপনাকে জানানো প্রয়োজন নেই।” অপারেশন ম্যানেজার মনির হোসেন এবং শাখা ব্যবস্থাপক সফিউল আজম-এর সঙ্গেও কথা বললে তারাও একই ধরনের উত্তর দেন এবং ঘটনার ব্যাপারে অসহযোগিতা প্রদর্শন করেন।
ঘটনার পর একাধিক অনুরোধে সাংবাদিক রায়হানকে যে স্টেটমেন্ট দেওয়া হয়, তাতে দেখা যায়—“মেসার্স জালাল এন্টারপ্রাইজ” নামক একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাঁর নামে থাকা একাউন্টে টাকা জমা হয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই তা পূবালী ব্যাংকের ভৈরব শাখায় ফেরত পাঠানো হয়।
সাংবাদিক রায়হান আহাম্মেদ ভূইয়া বলেন, “আমার অজ্ঞতাসারে কিভাবে একাউন্ট খোলা হলো, কীভাবে আমার ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহৃত হলো—তা একটি গুরুতর অপরাধ। ভবিষ্যতে এই তথ্য ব্যবহার করে যদি কেউ অপরাধ করে, তাহলে আমি তো ফাঁসতে পারি!”
থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন: ১. অবৈধভাবে একাউন্ট খোলা ও অর্থ লেনদেনে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
২. পূবালী ব্যাংকের নিতাইগঞ্জ শাখার কর্মকর্তা পিয়াংকা, অপারেশন ম্যানেজার মনির হোসেন এবং শাখা ব্যবস্থাপক সফিউল আজম-এর ভূমিকা তদন্ত করা।
৩. ভবিষ্যতে কেউ যেন তাঁর পরিচয় ব্যবহার করে এমন অপরাধ করতে না পারে, সে জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ।
এই ঘটনায় স্থানীয় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পরিচয় চুরি, গোপনে একাউন্ট খোলা এবং আর্থিক লেনদেনের মতো গুরুতর ঘটনায় ব্যাংকের উদাসীন আচরণ জনমনে প্রশ্ন তুলেছে। আমি নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় ও তার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।