বন্দর প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ বন্দরে সিকদার পরিবারের কাছে জিম্মিদশায় জীবন যাপন করছে এলাকাবাসী। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে ওসমান পরিবারের বিস্তস্থ দোসর সিকদার পরিবার নিজেদের অবস্থান ক্লিয়ার রাখতে যেখানে যা প্রয়োজন তাই ব্যবহার করেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানান। বিশাল দাপটে অবস্থানে সিকদার পরিবার নাসিক ২৪ নং ওর্য়াডসহ কদমতলী, আমিরাবাদসহ সকল মিল কারখানাগুলো তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কৌশল অবলম্বন করতে পারদর্শী বলে সচেতন মহলের ভাষ্য। ওসমান পরিবারের দোসর মাফিয়া জগতের সম্রাট হোন্ডা বাহিনীর গডফাদার আজমেরী ওসমানের ব্যানারে বিগত ১৬ বছর একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে। ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পরও পূর্বের চেয়ে আরো বেশি দাপটে অবস্থানে তারা।
যার ফলসূতিতে বুধবার রাতে এশার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে কাইতাখালী এলাকার মৃত আঃ মান্নানের ছেলে আব্দুল রশিদ (৪৫)কে রাস্তার মধ্যে ফেলে বেধরক মারধর করে। পরে তার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে ছুটে আসলে মান্নান সিকদার, রাহাত সিকদার, মাহবুবুল সিকদার, আনিল সিকদারসহ ৮/১০ দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। আহত আঃ রশিদকে(৪৫)বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে বম্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বন্দরের আমিরাবাদ এলাকায় গজারিয়া ইলাস্টিকের মালকি আক্তার হোসেন জবর দখলের অভিযোগ করেন। আক্তার হোসেন গজারিয়া ইলাস্টিক কোম্পানির মালিক অভিযোগে উল্লেখ্য করেন, আনিল সিকদার, রাহিত সিকদার, দিদারুল আলম, হৃদয়, মান্নান সিকদার, নাহিদ সিকদারসহ ৩০/৪০ জনের অঞ্জাতনামা সন্ত্রাসী বাহিনী ৬৫ শতাংশ জায়গা জবর দখল করার চেষ্টা দীর্ঘদিন যাবত করে আসছে।
তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকায় কোন কোম্পানি স্থানীয় হতে পারে না। ৬৫ শতাংশ জায়গা জবর দখলের চেষ্টা দীর্ঘদিন যাবত করে আসতেছে। আবার প্রকাশ্য নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। স্বৈরাচারী সরকারের সময়ের আজমেরী ওসমানের হোন্ডা বাহিনীর তান্ডব লীলায় অসহায় হয়ে পড়েছিলাম। স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর সিকদার পরিবার আরো বেপরোয়া হয়ে গেছে। ছাত্রদলের বহুদরজা পাল্টানো এক নেতা রাহিদ সিকদার। ছাত্রদলের রাহিত সিকদারের দাপটে ওসমান পরিবারের দোসররা পূর্বের চেয়ে আরো ক্ষমতাধর। অলিখিতভাবে বিএনপির ক্ষমতায় এমনই মনোভাবে নিয়ে ছাত্রদলের নেতা রাহিত সিকদার ৫ আগস্টের পর ওসমানদের দোসর (সিকদার পরিবার ) অবস্থান ঠিক রাখতে রাহিত সিকদার সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছে।
সিকদার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেও বিপাকে ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে আক্তার হোসেন ও রশিদ মিয়া। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বন্দর থানা পুলিশের পরিদর্শক মোঃ তরিকুল ইসলামের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।