তপু রায়হান রাব্বি ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধিঃযে বয়সে খেলাধুলা করার কথা, সেই বয়সেই প্রেমের ফাঁদে পড়ে জীবন দিতে হলো ১৭ বছরের বাবা হারা রায়হান কে। ময়মনসিংহের ফুলপুরে নিখোঁজ হওয়া ভাইটকান্দি স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র আবু রায়হান নিহাল এর লাশ অবশেষে একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সে ছনধরা ইউনিয়নের হরিণদী গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। গত ১৬ই জুন সোমবার রাত পৌনে ১১টায় উপজেলার ভাইটকান্দি মোড়ের সোবহানের বাসার পেছনের বাথরুমের সেপটিক ট্যাংক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রেমঘটিত কারণে রায়হানকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ জুন রাত ১১টা থেকে রায়হান নিখোঁজ ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে গত ১৫ জুন তার বড় ভাই মামুন ফুলপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন, যার নম্বর ৫৯৫।
আরো জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী বাড়ির শেখ ফরিদের মেয়ে এবং রায়হান একই ক্লাসে পড়ার সুবাদে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি এই প্রেমের সম্পর্কের জেরে মেয়ের বাবা শেখ ফরিদ (ফালান), হাতেম আলীর ছেলে মুঞ্জু এবং মেয়ের ভাই সাগর রায়হানকে আটক করে মারধর করেন। সে সময় তাকে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল যে, মেয়ের সাথে আর যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে ‘জীবনের জন্য শেষ করে দেওয়া হবে’। এই মারধরের ঘটনায় রায়হানের মা জোছনা খাতুন জানুয়ারিতেই ফুলপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এদিকে, রায়হান নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই মেয়ের পরিবার ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুল হাদি ঘটনা সততা নিশ্চিত করে সংবাদকর্মী তপু রায়হান রাব্বিকে জানান, এস.আই আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং মেয়ের বাবা শেখ ফরিদ ও মেয়ের ভাই সাগরের ঘরে তালা ঝুলানো এবং সবাই পলাতক। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতা এবং প্রেমঘটিত বিরোধের জেরেই রায়হানকে হত্যা করে বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।