1. [email protected] : adminbackup :
  2. [email protected] : Gk Russel : Gk Russel
  3. [email protected] : stnews :
পরীক্ষার ফি কমানোর দাবিতে বৃষ্টিতে ভিজে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল - শিক্ষা তথ্য
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আমাকে নিয়ে আবারও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে —সাবু লামা স্বপ্নকানন বিদ্যাপীঠে কৃতি শিক্ষার্ধীদের সংবর্ধনা ফুলপুরে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত বাউফলে আনসার ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রথম ধাপের সমাপনী ও সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠান রূপগঞ্জে শিশু ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার রূপগঞ্জে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তিতিমূলক ও বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা খাগড়াছড়ির সিন্দুকছড়িতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউপিডিএফের প্ররোচনায় উত্তেজনা সৃষ্টি মরহুম বিদ্যুৎ চাচার ৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া অনুষ্ঠিত ঐক্যফ্রন্টের বিশ্ব এক নতুন মঞ্চ-অভিবাসীদের পাশে দাঁড়াতে হবে কলাপাড়ায় বাতিঘর সংগঠনের দেড় হাজার তালের বীজ রোপণ

পরীক্ষার ফি কমানোর দাবিতে বৃষ্টিতে ভিজে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫
  • ৭৮ Time View

কলাপাড়া (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়ার সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস অনার্স  কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষার ফি কমানোর দাবিতে বৃষ্টিতে ভিজে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ফের আলোচনায় এলেন মাউশিতে ওএসডি থাকা কলেজের সংযুক্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফাতেমা হেরেন। বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে অধ্যাপক ড. ফাতেমা হেরেনের বিরুদ্ধে ‘আওয়ামীলীগের দোসরের ঠিকানা এই কলেজে থাকবেনা’, ‘পরীক্ষার ফি’র নামে চাঁদাবাজি চলবে না’ শ্লোগানে এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। এতে অংশ নেয় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের কাছ থেকে  ১৬৯০ টাকা থেকে তিন হাজার টাকা পরীক্ষার ফি ধার্য করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষার ফি বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কোন রশিদ না দিয়ে সাদা কাগজে লিখে স্লিপ দেয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, পার্শ্ববর্তী আমতলী সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কম টাকা নেয়া হচ্ছে। অথচ কলাপাড়ায় তাদের কাছে অতিরিক্ত টাকা ধার্য করেছে। এ নিয়ে তারা প্রিন্সিপাল ম্যাডামের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিঁনি তাদের কথা শুনেননি। তাই বাধ্য হয়ে তাদের আন্দোলনে নামতে হয়েছে ।
পরীক্ষার ফি না কমানো হলে তাদের এই আন্দোলন চলবে বলেও জানান শিক্ষার্থীরা। এর আগে অনার্স ফরম ফিলাপের সময় অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগে ইউএনও’র কাছে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে দেখা যায় পরিচয় পত্র, ছাত্র সংসদ, ম্যাগাজিন, রোভার স্কাউট, বিএনসিসি, গার্লস গাইড, পরিবহনের কোন কার্যক্রম না থাকলেও এসব খাত উল্লেখ করে ১৬৯০ টাকা আদায় করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। যা দিতে অনিচ্ছুক ছিল শিক্ষার্থীরা। পরে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বিষয়টি নিস্পত্তি হয়।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারী এমবি কলেজের একটি সূত্র জানায়, আওয়ামীলীগ ঘনিষ্ঠ ফাতেমা হেরেন ৫ আগষ্টের পর ভোল পাল্টে বিএনপি ঘনিষ্ঠ ক’জন শিক্ষক ও হেভিওয়েট নেতাদের সাথে সখ্যতা বজায় রেখে এখন বিএনপি ঘনিষ্ঠ হয়েছেন। কলেজের ব্যাংক হিসাবের টাকা সরকারী তহবিলে জমা দেয়ার নির্দেশনা এড়িয়ে তিঁনি  ৪৪ লক্ষ টাকা দিয়ে নিজ কক্ষের স্যেন্দর্য্যবর্ধন, এসি লাগানো সহ বিবিধ খাতে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে খরচ করেন। এছাড়া কলেজ পুকুরের মাছ, ক্যাম্পাসের গাছ ও প্রায় আড়াই টন লোহার দরজা, জানালা ভাঙ্গারী ক্রেতা চাঁনমিয়ার কাছে বিক্রী করে অর্জিত টাকা সরকারী তহবিলে জমা দেননি।
এ বিষয়ে সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রী কলেজের  অধ্যক্ষ অধ্যাপক  ড. ফাতেমা হেরেন তাঁর বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ফি নির্ধারণ করা হয়নি। আজ আমি কলেজের একটি অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলাম, তারা আমার কাছে না এসে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে ক্যাম্পাসে মিছিল করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। যারা ত্রৈমাসিক পরীক্ষা দেয়নি তাদের কাছে ডিউ ছিল। যা এখন বেশী মনে হচ্ছে তাদের কাছে। অন্য সরকারী কলেজের চেয়ে আরও কম টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা না বুঝে বিক্ষোভ করেছে। বিষয়টি তাদের বুঝিয়ে সমাধান করা হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের টাকা রকেটে জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়ায় তাদের পাওনা টাকার স্লিপ দেয়া হচ্ছে। রকেটে জমা দেয়ার স্লিপ দেখালে তাদেরকে পরীক্ষার প্রবেশ পত্র দেয়া হচ্ছে। কলেজের সকল আর্থিক বিষয় যথাযথ ভাবে মেইনটেইন করা হয় বলেও দাবী তার।’
প্রসংগত, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েও গত ২৭ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের বাঁধার মুখে যোগদান করতে পারেননি তিঁনি। ড. ফাতেমা হেরেন বিএম কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে যোগদানের চেষ্টা করলেও ছাত্রদের বাঁধায় বাতিল হয়ে যায়।  শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থেকে সুবিধাভোগী ছিলেন অধ্যাপক ড. ফাতেমা হেরেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সাইবার প্লানেট বিডি