স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর মেইন রোডে যুব লীগের কর্মী কাইল্যা সুমনের মাদক ব্যবসার কারণে এলাকার যুব সমাজ রসাতলে যাচ্ছে। হাত বাড়ালেই সুমনের কাছ থেকে মিলছে ফেনসিডিল। ভয়ে আতংকে সুমনের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। প্রতিবাদ করলেই তাকে ফেনসিডিল দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকী ধামকী দেয়। যার কারণে এলাকার মানুষ সয়ে যাচ্ছে শুধু মাত্র পুলিশের নিস্ক্রিয়তার কারণে। অথচ পুলিশের নাকের ডগায় প্রকাশ্যেই মাদক বিক্রি করে যাচ্ছে কাইল্যা সুমন।
মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী কাইল্যা সুমনের পিতা নীল চাঁন মারা গেছেন দীর্ঘ অনেক বছর হয়েছে। সুমনের প্রিয়তমা স্ত্রী নাসরিনকে তার পাশে পেয়ে মাদক বেচা কেনা ভালোই করছে। স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে মাদকের হাট বসিয়েছে শহরের খানপুর মেইন রোড এলাকায় সাদা মসজিদ সংলগ্ন। এলাকার কিছু পাতি নেতাকে নিয়মিত ফেনসিডিল খাইয়ে এবং কিছু টু পাইস দিয়ে নির্বিঘেœ চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা। মাঝে মধ্যে পুলিশ মাসোহারা নিয়ে যাচ্ছে।
যখন টাকার টান পড়ে তখনই সুমনকে পুলিশ ধরে ফেলে। কিন্তু সকালে ধরে আর বিকেলে ছাড়ে। এই হচ্ছে খেলা। যার কারণে পুলিশের প্রতিও মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলছে। এলাকার তরুন সমাজকে বাঁচাতে র্যাব, ডিবিসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনই যদি উদ্যোগী না হয় তাহলে এলাকার কিশোর গ্যাং দ্রুতই বৃদ্ধি পাবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব কাইল্যা সুমন ও তার স্ত্রী নাসরিনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে বলে এলাকাবাসী জানান।