সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ১০ নং আটুলিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আবুল আজিজ এর বিরুদ্ধে খাস জায়গায় দখলে অভিযোগ উঠেছে।
সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও অদৃশ্য কোন এক পাওয়ারে অবৈধ দখল দারি অব্যাহত রেখেছে আব্দুল আজিজ বাহিনী।
স্থানীয় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নওয়াবেঁকী বাজার সংলগ্ন এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর চর ভরাট করে চলছে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ। নদীর চরে অবৈধ পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশনা সম্বলিত সাইনবোর্ড লাগানো থাকলেও তা মানছে না কেউ।
অবৈধ এই দখল প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ ও ব্যবসায়ীরা।
খোলপেটুয়া নদীর চর দখল করে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, প্রশাসনের লোকজন এসে দেখার পর কয়েকদিন কাজ বন্ধ থাকে। কিন্ত রহস্যজনক কারণে কিছুদিন পর আবারো শুরু হয় ভবন নির্মাণের কাজ। এমন চোর-পুলিশ খেলার মাঝেই নদীর চর দখল করে গড়ে উঠছে একের পর এক অবৈধ স্থাপনা। বিশেষ করে গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় একাধিক ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ। তারা প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে অবৈধ এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
সচেতন নাগরিক সমাজের অভিমত, সরকারি খাস জায়গার উপর দালান ঘর নির্মাণ করা হলে সরকারের মূল্যবান সম্পত্তি বেহাত হয়ে যাবে। শুধু তাই নই এভাবে সরকারি খাস জায়গার উপর দালান নির্মাণ অব্যাহত থাকলে পার্শ্ববর্তী পড়ে থাকা সরকারি খাস জায়গা গুলো প্রভাবশালীর হাতে চলে যেতে পারে। তাই দ্রুত উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে সরকারি খাস জায়গা দখলমুক্ত করতে উপজেলা প্রশাসন কে এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন সুশীল সমাজ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় ব্যাবসায়ী জানান আব্দুল আজিজ ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জোরপূর্বক ভাবে সরকারি খাস জায়গা দখল করে রাখলেও সরকারি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রহস্য জনক কারণে নিরব ছিল।
সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা অবৈধ স্হাপনা বা দালান ঘরে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার ভূমি’র হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।