কুমিল্লার সিনিয়র সাংবাদিক দৈনিক দিনকালের ব্যুরো প্রধান শাহজাদা এমরান ও দৈনিক মানবকণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি তারিকুল ইসলাম নিখোঁজের পর উদ্বার হয়েছেন। শনিবার ২৮ জুন রাত সাড়ে ১১টার পর তাদের সন্ধান পাওয়ার পর পরিবারের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ২৬ জুন নীলফামারীর নীলসাগর পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়ার পর থেকে তারা নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের খোঁজ না মেলায় গভীর উদ্বেগে ছিলেন তাঁদের পরিবার, সহকর্মী এবং কুমিল্লাসহ দেশের সাংবাদিক সমাজ।
এদিকে শনিবার বিকালে এ ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি স্পষ্ট করার আহবান জানিয়েছিল বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর বলেন ২৪ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে তারা নিখোঁজ রয়েছেন, অথচ কোন হদিস নেই। তারা কোথায় আছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা জরুরী মনে করছে এ সংগঠনটি। দুই সাংবাদিকের সন্ধান পাওয়ায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে নীলফামারী এবং কুমিল্লা দুই প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে। দিনভর বিএমএসএফের পক্ষ থেকে পুলিশ প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ সমন্বয় রক্ষা করা হয়েছে। দুজন পেশাদার সাংবাদিক যেন কোনরূপ হয়রানির শিকার না হয় এজন্য বিএমএসএফ দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করে।
এ ঘটনায় সাংবাদিক শাহজাদা এমরানের স্ত্রী জাহেরা আক্তার বিএমএসএফকে জানিয়েছিলেন, তাদের কোন খোঁজখবর না পেয়ে কুমিল্লা থানায় আমি জিডি করেছি (নং ১৯০০, তারিখ ২৬ জুন, ২০২৫)। কুমিল্লার পুলিশ প্রশাসন প্রকৃত কোন তথ্য আমাদের কাছে সরবরাহ করতে পারেনি। উৎকন্ঠা কাটাতে আমরা দ্রুত তথ্য চাই, তারা কোথায় আছেন? এদিকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিখোঁজ স্বামীর সন্ধান পেয়ে তিনি জাহেরা আক্তার সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
নিখোঁজ দুই সাংবাদিকের সন্ধান মেলায় দুই জেলার পুলিশ প্রশাসন, আন্তরিক সাংবাদিক সহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অন্যদিকে কুমিল্লার একটি সাংবাদিক গ্রুপ তারা এই দুই সাংবাদিককে ফাঁদে ফেলতে দিনভর বিরতিহীন উঠেপড়ে লেগেছিলো। তাদের প্রতি সতর্কতা জানিয়ে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আমরা আপনাদেরকে রাক্ষুসে সাংবাদিক হিসেবে চিনে রাখলাম।