বন্দর প্রতিনিধি: ছাদ ও দেওয়ালে ধরছে ফাটল। অধিকাংশ স্থানে খসে পড়ছে পলেস্তারা। বেড়িয়ে পড়েছে রড, সামান্য বৃষ্টিতেই ফাটল ধরা ছাদ থেকে পড়ছে পানি। খসে পড়ছে পোকায় ওখেয়ে নষ্ট করা দরজা-জানালা সহ অন্যান্য উপকরণ। বাঁশ আর কাঠের খুঁটিতে ঠেস দিয়ে রাখা হয়েছে সিঁড়ি ও ছাদ। আশঙ্কা, যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়েই জরাজীর্ণ ভবনে বসবাস করছেন প্রায় ১০টি পরিবারের অর্ধশাতাধিক মানুষ। ভবনটি এতটাই খারাপ অবস্থায় আছে যে, যেকোন সময়ে ভেঙে পড়তে পারে এবং এতে বড় ধরনের দুঘর্টনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
এমনই বেহাল অবস্থা নাসিক ২২নং ওয়ার্ডের বাবুপাড়া এলাকায় মৃত সামছুল হকের ছেলে আল আমিন ও আজম তিন তলা বিশিষ্ট ঝুঁকিপূর্ন ভবন। সরেজমিন দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২২নং ওয়ার্ডে ব্যাক্তি মালিকানাধীন জরাজীর্ণ তিন তলা ভবনের দরজা-জানালা, সিঁড়ি, ছাদের পলেস্তার এবং ছাদ ফুঠো হয়ে খসে গেছে একাধিক জায়গায়। সিঁড়িতে বাঁশ, কাঠ এবং ইট দিয়ে ঠেস দিয়ে রাখা হয়েছে। অথচ ভবনের ফ্ল্যাটে ঝুঁকি নিয়ে থাকছেন প্রায় ১০টি পরিবারের লোকজন। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, বাবুপাড়া এলাকায় প্রায় ১শ’ বছরের পুরনো তিনতলা বিশিষ্ট মৃত সামছুল হকের বাড়িটি।
এই বাড়িতে তার দুই ছেলে আল আমিন ও আজম থাকেন এবং প্রায় ১০টি পরিবার বাসাভাড়া নিয়ে বসবাস করছে। পুরনো এই বিল্ডিং এর দোয়াল থেকে শুরু করে বাড়ির ছাদও খসে খসে পড়ে যাচ্ছে। এবং বাড়িটির আশেপাশে চলাচলরত মানুষ রয়েছে আতঙ্কে, প্রতিনিয়তই বিল্ডিং এর পলেস্তার, দেওয়াল ফাটলের খসা চলাচলরত আশোপাশে মানুষের ওপর পড়ে দুগর্টনা ঘটছে। এলাকাবাসী আরও জানান, কিছুদিনও আগেও একজনের মাথা ফেটে গেছে ইটের খসা পড়ে।
এই নিয়ে বিচার শালিস হলেও কোন সমাধান পাচ্ছেনা এলাকাবাসী। যার কারণে আশেপাশে বাড়ির মানুষ সহ চলাচলরত মানুষরা আতঙ্কে থাকে। যেকোন মুহুর্তে ভেঙে পড়তে পারে ভবনটি। এলাকাবাসীর রক্ষার্থে ঝুঁকিপূর্ন ভবনটি ভেঙে ফেলার জন্য নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।