মো.ইসমাইলুল করিম নিজস্ব প্রতিবেদক: পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামায় ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ০৪ নং ওয়ার্ড কুমারী নিজপাড়া এলাকায় সামান্য একটা মুরগির মারার জের ধরে গর্ভবতী এক তরুণী’কে তলপেটে লাতি মারার অভিযোগ উঠেছে পাশ্ববর্তী মোঃ কলিমউল্লাহ, আব্দুল কাদের বাপ্পি সওদাগর এর বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘটে (১৩ মার্চ) বুধবার বিকেলে ৫টায় আহত নারী মাইমুন ফারজানা জেরিন (২০) হাতে আগুল ভেঙ্গে যায় ও তলপেট সহ শরীরের অনেক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ সকালে সরেজমিনে গিয়ে জানাজায়, আহত মেয়ে চকরিয়া হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে রেফার দেন চট্টগ্রাম হাসপাতালে বর্তমান চিকিৎসাধীন। আহত নারী মাইমুন ফারজানা জেরিন লামা উপজেলা ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ০৪ নং ওয়ার্ড কুমারী নিজ এলাকায় মো. জামাল উদ্দিন এর মেয়ে। বুধবার বিকেল ৫টায় নিজ বাড়ির দোকান সামনে এই ঘটনা ঘটে। হামলাকারী মো. কলিম উল্লাহ একই গ্রামের মৃত আবুল কাশেম এর ছেলে সহ বাপ্পি ও আব্দুল কাদের। হাসপাতালের বেডে শুয়ে কান্নারত মাইমুন ফারজানা জেরিন জানান, বিকেলে তার বাড়ির সামনের দোকানে মুরগী গেলে ইদুর কল ফেলে মেরে পেলেন মুরগী। মা জিজ্ঞেস করে মুরগী কে মারছে, তখন তারা মা’কে গালিগালাজ করে। আমি প্রতিবাদ করায় দোকান দার বাপ্পি,তার জেঠাতো ভাই মো. কলি মোল্লাহ,আব্দুল কাদের চুলের মুঠি ধরে কিলঘুষি ও তলপেট লাতি দেন। হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে, তলপেট সহ শরীরের অনেক জায়গায় ব্যাথা পায়। পরে খবর পেয়ে তার পাশ্ববর্তী লোকজন ও মা বাবা ‘রা উদ্ধার করে চকরিয়া হাসপাতালে নিয়ে আসে। সে তিন মাসের অন্তঃস্বত্তা। এসময় তাকে তলপেটের আঘাতে ব্যাথায় কাতরাতে দেখা যায়। আহত মা রাহেলা বেগম বলেন, মুরগী মারার জন্য কল বসায় মুরগী মারে আমি গিয়ে জিজ্ঞেস করলে আমাকে মারতে আসে, তখন মেয়ে বাড়ি থেকে এসে প্রতিবাদ করলে মেয়ে’কে লাতি মেরে, হাতে আগুল ভেঙ্গে দেন মূখে কিল-ঘুষি মেরে নাকপুল পড়ে যায় আমি আহত হয়। আহতের বাবা মো. জামাল উদ্দিন বলেন, কাল আমি বাড়িতে ছিলাম না। মেয়ের মা ফোন করে বলে বাপ্পি মুরগী মেরে ফেলছে। প্রতিবাদ করায় মেয়ে’কে তলপেটে লাতি মেরে দেয়। মেয়েকে উদ্ধার করতে হাসপাতাল ভর্তি করি। মেয়ে’কে বিবাহ দিয়েছি চকরিয়া মেয়ে বেড়াতে এসেছে তার মধ্যে বাপ্পি পরিবার হামলা করে মেয়ে’কে। অভিযুক্ত মো.কলিম উল্লাহ ও বাপ্পি বলেন, দোকানে ইদুর কল বসানো ছিল সেখানে মুরগী এসে শুকনা মাছ খেতে গিয়ে আটকায় যায়। মারধর বিষয় জানতে চাইলে কোনো উত্তর না দিয়ে এরিয়ে জান। পাশ্ববর্তী রাহেলা বেগম ও জোসনা বেগম বলেন,মুরগী একবেলা বেঁধে রেখে দুপুরবেলা ছেড়ে’দেয় কিন্তু বাপ্পি সওদাগর ইদুর কল বসিয়ে মুরগী’মেরে পেলেন। এর আগেও বিভিন্ন সময় অনেক মুরগী মেরে ফেলছেন। মুরগী মা-রা বিষয় নিয়ে মেয়ে এবং মা’কে কিলঘুষি লাতি মারে গুরুত্ব আহত করেন।লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. শামীম শেখ বলেন, এই বিষয় কেউ অভিযোগ করে নাই । অভুযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।