শার্শা উপজেলা প্রতিনিধি : শার্শা’র উলাশী ইউনিয়নে সরকারি চাল ছিনিয়ে নিয়ার অভিযোগ উঠায় তা খতিয়ে দেখতে জরুরী কর্মী সভা করেছে উলাশী ইউনিয়ন বিএনপি। শুক্রবার বিকেলে যশোরের শার্শা উপজেলার উলাশী ইউনিয়নের ধলদা বাজারে স্থাপিত বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এ কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উলাশী ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান নেদার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন এর সঞ্চালনায় এ কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায়, শার্শা উপজেলার উলাশী ইউনিয়নে সরকারি খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় (ভিডব্লিউভি) তালিকাভুক্ত হতদরিদ্র নারীদের মাঝে বিতরণকৃত চাল ছিনতাইয়ের অভিযুক্তদের হাজির করা হয়। এসময় স্থানীয় সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে অভিযুক্তদের মাঝে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ ও তারা বিএনপির রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ঠ কি,না তার সত্যতা যাচাই করা হয়। একইসাথে বিএনপির উলাশী ইউনিয়ন শাখার সহ সভাপতি আমিনুর রহমান নেদাকে জড়িয়ে বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য সরবরাহকারীদের হীন মন মানষিকতার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

এসময় বক্তারা বলেন, স্থানীয় কিছু কূচক্রীমহল বিএনপি নেতা নেদার সততা ও দলীয় ভালবাসাকে ধ্বংশ করতে তার নামে সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ ও সংবাদ প্রকাশ করিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার চেস্টা করেছে। সভায়, উলাশী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বলেন, গত বৃহস্পতিবার শার্শা উপজেলার উলাশী ইউনিয়নে সরকারি খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় (ভিডব্লিউভি) তালিকাভুক্ত হতদরিদ্র নারীদের মাঝে বিতরণকৃত চাল ছিনিয়ে নিয়ার অভিযোগ উঠায় এবং এ সংক্রান্তে কিছু অনলাইন ও দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় তা আমাদের দৃষ্টিতে আসে।

এসংবাদে আমরা বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে তড়িৎ গতিতে ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মী সভা করেছি। একইসাথে অভিযুক্তদের হাজির করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, এবং যারা বিএনপি নেতা নেদাকে জড়িয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার অপচেস্টা করেছেন, তাদেরকে চিহ্নিত করার চেস্টা চলছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বেলা ২ টার দিকে উপজেলার উলাশী ইউনিয়নের ধলদা মোড়ে ভিডব্লিউভি তালিকাভুক্ত প্রত্যেক নারী সদস্যকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বস্তা করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।

বরাদ্দপ্রাপ্ত চাল নিয়ে নিজ দায়িত্বে ভ্যান যোগে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় ধলদা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ইয়ানুর, রাজ্জাক বিশ্বাসের ছেলে মিজানুর বিশ্বাস, সুরত আলীর ছেলে মশিয়ার এবং আতিয়ার বিশ্বাসের ছেলে রফিকুল ভ্যান থামিয়ে দুই থেকে তিন বস্তা করে চাল ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ ওঠে এবং এ সংক্রান্তে বিভিন্ন অনলাইন ও দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।

তাতে, ছিনতাইকারীরা সবাই শার্শা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান নেদার ঘনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে পরিচিতি আসে। জানান, হতদরিদ্রর চাল পরিষদ থেকে নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে কেও নিয়ে নিলে সেটা ছিনতাই হয়। আমি শার্শার ওসিকে বলে দিয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে। শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএম রবিউল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব‍্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।