মোঃ আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রূপগঞ্জের চারবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল মতিন চৌধুরীর ১৩তম শাহাদাত বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে।
সোমবার (৪ আগস্ট) সকালে রূপগঞ্জ উপজেলার বিরাবো এলাকায় মরহুমের কবর জিয়ারত ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন,বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনির,রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন,সাধারণ সম্পাদক বাছির উদ্দিন বাচ্চু ।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম ইমন,জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক মোঃ নাছির উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহাবুবুর রহমান মাহবুব,কাঞ্চন পৌর বিএনপির সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মফিকুল ইসলাম খাঁনসহ যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেন, যুবদল নেতা আবু মোহাম্মদ মাছুম,উপজেলা জিয়া মঞ্চের সভাপতি জজ মিয়া, কাঞ্চন পৌর সাবেক ছাত্রদল সহ সভাপতি সানাউল্লাহ মান্নান সানিসহ ছাত্রদল, সেচ্ছাসেবক দল ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সভায় বক্তারা বলেন, আব্দুল মতিন চৌধুরী বেঁচে থাকলে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস আরও সমৃদ্ধ হতো। তিনি ছিলেন দূরদর্শী, ত্যাগী ও মানবদরদী নেতা। তিনি শুধু রূপগঞ্জ নয়, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ছিলেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর মতো সাহসী, দূরদর্শী ও দেশপ্রেমিক নেতার অভাব আজ রাজনীতিতে গভীরভাবে অনুভূত হয়।
আব্দুল মতিন চৌধুরী ছিলেন রূপগঞ্জ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এবং আধুনিক রূপগঞ্জের রূপকার। তাঁর পরিকল্পনায় আজকের রূপগঞ্জ একটি সম্ভাবনাময় উপজেলা হিসেবে পরিচিত। তিনি আমাদের রাজনৈতিক পথের দিশারি ছিলেন। তাঁর আদর্শ ও নীতি আমাদের প্রেরণা জোগায়। আমরা তাঁর কর্ম ও আদর্শকে ধারণ করে চলতে চাই। রূপগঞ্জের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে আজীবন বেঁচে থাকবেন আব্দুল মতিন চৌধুরী।
উল্লেখ্য, ১৯৪৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন , এবং ২০১২ সালের ৪ আগস্ট রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।
তিনি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে চারবার নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সরকারের স্বরাষ্ট্র, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।