বিশেষ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ বন্দর নাসিক ২৭ নং ওয়ার্ডের ফুলহর গ্রামের কবির এবং সাহিন,দুজনে একই গ্রামের বাসিন্দা। বিগত সময়ে দুজনের সাথেই ছিলো সু সম্পর্ক,এক সাথেই করতো জায়গা জমির ব্যবসা। তবে শাহীন ভেজাল জায়গা ক্রয় বিক্রয় করাতে বাঁধা দেয় কবির, সেই থেকেই সম্পর্কের মাঝে ধরে ফাঁটল। বন্ধু যখন শত্রু হয়, সম্পর্ক তখন বিষাক্ত । তারই প্রমাণ কবির এবং শাহীনের। কবির জানায় “পূর্ব শত্রুতার জেড় ধরেই বেশ কিছুদিন যাবৎ আমার নামে এক তরফা অপ্রপ্রচার চালাচ্ছে শাহীন।
বন্ধুত্ব সম্পর্ক বাঁচাতে কিছুদিন নিরব থাকলেও, আর সহ্য করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ৮ই আগস্ট শুক্রবার নিজের অপ্রপ্রচারের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রকাশ করে কবির বলেন , আমি প্রায় ১০ বছর আগে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলাম নিজেই এই বিষয় নিয়ে স্যালেন্ডার করেছিলাম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে,আমার সবটা শুনে সেনাবাহিনী আমাকে বাড়িতে রেখে যায়।তবে বাহিনীর হাত থেকে বাঁচলেও শাহীনের হাত থেকে বর্তমানে বাঁচা মুসকিল হয়ে যাচ্ছে আমার।
সে আমার ১০ বছর আগের করা মাদক ব্যবসা নিয়ে নানা সময় নানা জায়গায় আলোচনা সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ্রপ্রচার করে। এই বিষয় গুলো নিয়ে তাকে বলতে গেলে সে আমাকে মারধর সহ বাড়িতে আগুন লাগিয়ে হত্যা করার হুমকি দেয়। সেই সাথে অন্য জনের স্ত্রীকে, আমার স্ত্রী বলে আমাকে সমাজে হেও পতিপন্ন করার পায়তারা করছে। নিরুপায় হয়ে অবশেষে আমি সাংবাদিক মহলের কাছে আমার নামে আনিতো অভিযোগের নিন্দা প্রকাশ করছি।
এবং অতি দ্রুত শাহিনের বিরুদ্ধে আইনের সহায়তা নেওয়ার প্রস্তুতি চলমান রয়েছে বলে জানায় ভুক্তভোগী। খোঁজ নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, কবির আগে পরে কি ছিলো তা আমরা জানি, কিন্ত স্ট্রোক করার পর থেকে সে নামাজ পড়ে এবং হালাল ব্যবসা করে খায়।তবুও শাহীন তার নামে দুই দিন পর পরি ফেসবুকে বদনাম ছড়ায়। আমরা এর তিব্র নিন্দা প্রকাশ করছি।এলাকাবাসী আরো জানায়, শাহীন আগে আওয়ামী লীগের আমলে মদনপুর অটোস্ট্যান্ড থেকে চাঁদাবাজী করতো। শাহীনের বিরুদ্ধে বিচারের দাবি দিয়ে ফুলহর গ্রামের রাস্তায় দাড়িয়ে প্রতিবাদ করে এলাকাবাসী।