বন্দর প্রতিনিধি / দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর গডফাদার খ্যাত ওসমান পরিবারের দোসর হয়ে বিশাল মাপের দাপটে ছিলেন। সময়ের প্রেক্ষাপটে ইউনিয়ন পরিষদের একজন মেম্বার হয়ে মঞ্জু ধরাকে সরা ঞ্জান করে তুলতেন। সকল কাজে পারদর্শী এক শিক্ষিত ও প্রবাস জীবন শেষে দেশে এসেই মেম্নার নির্বাচিত হন। একজন মেম্নার হয়ে অবৈধ গ্যাস দিয়ে বিশাল পরিমান অর্থ বাণিজ্য করেছে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়ার অপরাধে প্রায় ডজন খানিক মামলার আসামী হলেও ওসমান পরিবারের দোসরের দাপটে ছিল সবাই নীরব। সেই বহুরুপী চৌকাঠ মাড়িয়ে এখন বিএনপির নেতা হওয়ার জন্য দৌড়ঝাপ প্রায় সফল। এদের মত লোক বিএনপিতে আনা মানে নিজ পায়ে (দলের) কুপ মারার সামিল। সুবিধাভোগী মনজুর মেম্বার (বর্তমানে) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। স্বৈরাচারী সরকারের পতন, ভাগ্যের চাকা ও প্রভাব বিস্তারের রাস্তা আরো পরিস্কার হয়ে যায়। ওসমান পরিবার দেশছাড়া কৌশলে বিএনপির নেতা হওয়ার পথে, তারপর আবার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
যা ভাত না চাইতে যেন অন্ন। ওরা ভোল্ট পাল্টানো পল্টিবাজ সমাজ, দেশের জন্য আরেকটা আতংক। বিএনপির সাথে মিলে সকল তথ্য ওসমান পরিবারকে স্পালাই করে থাকে। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি সেলিম ওসমানের দোসর, জাতীয় পার্টি নেতা ও মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনজুর আলম নানান অপকর্ম করে এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। গোপন সূত্রে জানা গেছে, বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে মনজু ২ বার মুসাপুর ইউনিয়নের মেম্বার নির্বাচিত হন। নিজেকে এমপি সেলিম ওসমানের কাছের লোক পরিচয় দিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, নিরিহ মানুষের উপর জুলুম ও এলাকায় নানান অপকর্ম চালিয়ে গেছেন। ২য় বার মেম্বার নির্বাচনে তার ভরাডুবি হবার আশংকা ছিলো, সে নির্বাচনে সেলিম ওসমানের ম্যাকানিজমে সে মেম্বার নির্বাচিত হন। উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে গিয়ে চেয়ারম্যান মাকসুদ পদত্যাগ করলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পায় মনজু।
এ সুযোগকে অবৈধভাবে ব্যবহার শুরু করতে থাকে মনজু মেম্বার। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অতিরিক্ত ট্রেড লাইসেন্স ফিস আদায়, বিচার ও মামলা বাণিজ্য এবং বালু মহলে চাঁদাবাজির মতো অপকর্ম করে মুসাপুরকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। জাতীয় পার্টি নেতা সেজে এবং সেলিম ওসমানের ডাকে জাতীয় পার্টির অনেক মিটিং মিছিলে লোকজন জড়ো করে স্লোগান দিয়ে অংশ নিয়ে এখন সুবিধা বুঝে বিএনপি নেতা সাজতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তার খুটির জোর কোথায় সেই প্রশ্ন করেছেন সচেতন নাগরিকরা