আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:- বরগুনার আমতলী উপজেলার মহিষকাটা বাজারে এমবিবিএস পাস না করেও দীর্ঘদিন ধরে রোগী দেখছেন কথিত এক ‘অভিজ্ঞ ডাক্তার’। প্রেসক্রিপশনে নিজের নামের আগে ‘ডাক্তার’ এবং বিভিন্ন রোগের পাশে ‘অভিজ্ঞ’ শব্দ ব্যবহার করে তিনি রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছেন।
জানা যায়, ওই ব্যক্তি মো. বাদল মিয়া (ডিএমইউএস) নামের এক চিকিৎসক। তিনি দাবি করেন, ডিপ্লোমা ইন মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি (ন্যাচারাল), সিপি ঢাকা ডিগ্রি অর্জন করেছেন। প্রতি শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা এবং মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত মহিষকাটা কলেজ রোডের একটি চেম্বারে রোগী দেখেন তিনি। পাশাপাশি নিজ এলাকা গুলিশাখালীর হরিদ্রাবাড়িয়াতেও নিয়মিত রোগী দেখেন।
তার প্রেসক্রিপশনে লেখা থাকে- “মেডিসিন, চর্ম-যৌন, নাক, কান, গলা, ব্যথা-বেদনা, মা ও শিশু রোগের অভিজ্ঞ ডাক্তার।” গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সচেতনতার অভাব ও চিকিৎসক সংকটকে পুঁজি করে তিনি বছরের পর বছর রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। অনেক রোগী জানিয়েছেন, তার দেওয়া ওষুধ সেবনের ফলে তারা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এমনকি ভুল চিকিৎসার কারণে মৃত্যুর ঘটনাও শোনা যায়।
মহিষকাটা কলেজ রোডে ‘মা মেডিকেল’ নামে একটি ফার্মেসিতে প্রায় দুই বছর ধরে তিনি চেম্বার পরিচালনা করছেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ‘ডাক্তার’ ও ‘অভিজ্ঞ’ লেখা প্রসঙ্গে নিজেই ভুল স্বীকার করেন বাদল মিয়া।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চিন্ময় কুমার হালদার বলেন, “এমবিবিএস ডিগ্রিধারী ছাড়া কারো নামের আগে ডাক্তার লেখার সুযোগ নেই, যদি এ ধরনের প্রমাণ মেলে, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, “প্রেসক্রিপশনে বিধিবহির্ভূতভাবে ডাক্তার লেখা বেআইনি, যারা এ ধরনের কাজ করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”