বন্দর(নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি : বন্দরে নাতিন জামাইয়ের ইটের আঘাতে আহত নানী শ্বাশুড়ি তিনদিন পর মৃত্যু হয়েছে। নিহত বৃদ্ধার নাম নুরুননেছা (৬০)। বৃহস্পতিবার ভোরে দড়িসোনাকান্দা এলাকায় ভাড়াটিয়া বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। ৯৯৯ ফোন পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার মর্গে প্রেরণ করে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক নাতিন জামাই মো. হৃদয় মিয়া(২৭) পলাতক। ইফতার খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে নাতিন জামাইয়ের হাতে নানী শাশুড়ি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। নিহতের স্বজনরা ও এলাকাবাসী জানান, গত মঙ্গলবার বিকেল নিহত বৃদ্ধা নুরুন নেছার বড় বোন ছলেমুন নেসা তার ভাড়াটিয়া বাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরে ইফতার খাওয়ার সময়ে নাসিক ২০ নং ওয়ার্ড দড়িসোনাকান্দা এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে নাতিন জামাই হৃদয় মিয়ার সঙ্গে নানী শ্বাশুড়ি নুরুন নেসা বাকবিতন্ড হয়। এক পর্যায়ে নাতিন জামাই হৃদয় ক্ষিপ্ত হয়ে নানী শ্বাশুড়িকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইট দিয়ে আঘাত করে বেদম ভাবে পিটিয়ে জখম করে। এসময় স্থানীয়রা বৃদ্ধাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শহরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে আসেন । তিনদিন পর বৃহস্পতিবার ভোরে আহত নানী শ্বাশুড়ির মৃত্যু হয়। পরে নাতিন স্মৃতি ৯৯৯ কল করে হত্যাকান্ডের জানায়। পরে বন্দর থানার এসআই মামুন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে মর্গে প্রেরন করেন। এসআই মামুন বলেন, ৯৯৯ জরুরী সেবা মাধ্যমে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে জিডি মূলে লাশ উদ্ধার করে সুরতাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে র্মগে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধিন। ঘটনার পর থেকে নাতিন জামাই হৃদয় পলাতক রয়েছে। নিহত বৃদ্ধা মৃত আব্দুল মান্নান মিয়ার স্ত্রী।