মোঃ ফরহাদ হোসেন বাবু: গলাচিপা উপজেলায় চলতি বছরে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। আলু উৎপাদনে বরিশাল বিভাগের মধ্যে গলাচিপা উপজেলা ১ম স্থানে রয়েছে। গলাচিপা উপজেলায় অনেক কৃষক বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করে । বিগত কয়েকবছর যাবৎ বি এ ডি সি প্রকল্পের আওতায় চুক্তিবদ্ধ কৃষকদের নিয়ে মাঠ পর্যায়ে আলু রোপন, সার ঔষধ প্রয়োগ সহ রক্ষনাবেক্ষনের প্রশিক্ষন দিয়ে দক্ষ কৃষক হিসেবে গড়ে তুলেছে। বি এ ডি সি প্রকল্প চুক্তিবদ্ধ প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত চাষিদের মাঝে সরকার নির্ধারিত মূল্যে প্রতি বছর নভেম্বরের শেষে আলু বীজ প্রদান করে আসছে। সর্বোচ্চ অঙ্কুরিত, গুনগত মান নির্নয় করে বিভিন্ন জাতের উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ আলু বি এ ডি সি চুক্তিবদ্ধ কৃষকদের প্রদান করা হয়। তবে এস্টরিক্স, ডায়মন্ড ও সানসাইন জাতের আলু এ বছর বেশি চাষ করা হয়েছে। এসব আলু বীজ স্থানীয় আবহাওয়া ওপর নির্ভর করে রোপনের ৭৫ থেকে ৮০ দিন পরে বা ফেব্রুয়ারির শেষ এবং মার্চের প্রথম দিকে হারভেস্ট করা হয়। উৎপাদিত আলু থেকে নির্ধারিত সাইজ ও ওজনের আলু আবার বি এ ডি সি প্রকল্প সরকার নির্ধারিত মূল্যে উল্লেখিত কৃষকদের থেকে ক্রয় করে, যা আগামী বীজ আলু হিসেবে হিমাগারে সংরক্ষণ করা হয়। আলুর দাম নিয়ে শঙ্কিত কৃষকরা। চলতি বছরে আলু উৎপাদনে কৃষকদের খরচ বেড়েছে অনেক। চলতি বছরে গলাচিপায় ২১৬ একর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। বীজ, সার, ডিজেল এবং শ্রমীকদের মূল্য বৃদ্ধি হওয়াতে প্রতি একরে উৎপাদন খরচ বেড়ে দাড়িয়েছে প্রায় ১৬০০০০ এর বেশি। প্রতি একরে ফলন হয় প্রায় ২৪০ মন যা উৎপাদনের প্রায় সর্বোচ্চ পর্যায়। চুক্তিবদ্ধ আলু চাষিরা দাবী করে বলছেন যে সরকার বি এ ডি সি প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের থেকে যে আলু ক্রয় করে তা যেন নায্য মূল্যের হয়। কৃষকদের উৎপাদন খরচ বিবেচনায় রেখে এবং কৃষকদের মানোন্নয়নে যেন আলুর নায্য মূল্য নির্ধারন করা হয়। বরিশাল বিভাগীয় উপ পরিচালক বি এ ডি সি হিমাগার টিসি কে এম আখতার হোসেন বলেন, বি এ ডি সি এর সাথে চুক্তিবদ্ধ কৃষকগন যাতে লাভবান হতে পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হবে।