নিজস্ব প্রতিবেতদক:চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ নেতা জনম বেকার হয়েও নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার রুপসী, কামালনগর (খাদুন) মহল্লায় জমি ক্রয় করে গড়ে তুলেছেন ৪তলা বিলাসবহুল ভবন, রয়েছে জমিও। রাজকীয় জীবনযাপন দেখলে মনে হবে কোন এক শিল্পপতির গর্বিত সন্তান তিনি। কথা বলছি ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের উত্তর সরদারকান্দি মো. সালাউদ্দিন বেপারীর কথা তিনি ওই গ্রামের মৃত মুজিবুল বেপারীর ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, নিজ এলাকা কিংবা পাশর্^বর্তী এলাকার লোকজনদের মুখে জানতে পারি সালাউদ্দিন কোন কর্মজীবি নন। তিনি এলাকা স্থানীয় পর্যায়ে শালিস দরবার করে কোন রকম জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। দৃশ্যমান কোন আয়ের পথ নেই। কিন্তু ইদানিংকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার রুপসী, কামালনগর (খাদুন) মহল্লায় জমি ক্রয় করে ৪তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করেছেন। যা রীতিমত আলাউদ্দনিরে আর্শ্চয প্রদীপের মত মনে হয়। শুধু তাই নয়, পাশে রয়েছে আরো ২ কাঠা জমি। জীবনযাপন করেন রাজার হালে। যা জনমানে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয়রা জানান, সালাউদ্দিন এক সময় গৃহ শিক্ষক ছিলেন। তিনি শিক্ষক হয়ে ছাত্রের মাধ্যমে ইয়াবা বিক্রি করাতেন। ইয়াবা বিক্রি করে ছাত্র ওই টাকা শিক্ষক (সালাউদ্দিন) কে দেয়নি। টাকা পরিশোধ না করায় শালিসদের মাধ্যমে জানতে পাওে ওই ভুক্তভোগী পরিবার। তখন উপায়ান্তর না পেয়ে সুদে টাকা এনে তা পরিশোধ করতে বাধ্য হয়। তখন ইয়াবা আমাদের এলাকায় ছিলনা, গৃহ শিক্ষক (সালাউদ্দিন) এর মাধ্যমে ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন তথা আশপাশের ইউনিয়ন গুলোতে ইয়াবার চালান আসে।
অপর একজন জানান, সালাউদ্দিনের স্বপরিবার থাকে নারায়ানগঞ্জে, সে একা মাসের পর মাস থাকে গ্রামের বাড়ীতে তার রহস্য কি তা আমরা বলতে পারবোনা। আমরা গরিব মানুষ রিকসা চালিয়ে প্রতিদিন ৭-৮শ’ টাকা রোজগার করেও সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। সে কিভাবে বেকার থেকে প্রতিদিন দেড় প্যাকেট বেনসন সিগারেট খায়, তা আমার বুজে আসেনা।
এবিষয়ে সালাউদ্দিনের বক্তব্য নিতে তার গ্রামের বাড়ি সরদারকান্দিতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ নেতা সালাউদ্দিন নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার রুপসী, কামালনগর (খাদুন) মহল্লায় জমি ক্রয় করে গড়ে তুলেছেন ৪তলা বিলাসবহুল ভবন। ইনসেটে সালাউদ্দিনের ছবি।