চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:- চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কেলিশহর- হাইদগাও গুচ্ছগ্রামে জমজমাট মাদক আনা নেওয়া ও বিকিকিনি হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২০/২৫ বছর ধরে এ মাদক ব্যবসা কে কেন্দ্র করে অনেক মারামারি খুনের মতো জঘন্যতম ঘটনা ঘটেছে। পটিয়া থানা পুলিশ একাধিকবার খুন ও মাদক মামলার আসামিদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করলেও তারা আবার জামিনে বেরিয়ে এসে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এ মাদক ব্যাবসার মুলহোতা গুচ্ছ গ্রামে এলাকার আবুল কাসেম এর পুএ মোহাম্মদ শওকত,তার ভাই মোহাম্মদ ইকবাল, মাঝির পাড়ার নুর নবী, পুর্ব হাইদগাও মোহাম্মদ, ইসমাইল এর পুএ মোহাম্মদ ইউসুফ, খিল্লা পাড়ার মহসিন জড়িত রয়েছে বলে এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে। তবে বিষয়টি প্রশাসন নিশ্চিত হতে মাঝির পাড়া এলাকার খিল্লা পাড়ার মাদক পরিবহনে নিয়োজিত ১০/১২ জন বারি ওয়ালা বেশ কয়েকজন জড়িত। তাদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞেসাবাদ করলে মাদক ব্যাবসার মুলহোতা বেরিয়ে আসবে। বোয়ালখালী পুলিশ প্রশাসন বড় বড় মাদক ব্যাবসায়ীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়ছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বোয়ালখালী থানার সেকেন্ড অফিসার নাদিম মাহমুদ জানান। মাদক ব্যাবসায়ীরা খিল্লা পাড়ার ও মাঝির পাড়ার পয়েন্ট দিয়ে পাহাড়ি সুড়ঙ্গ পথে পলিথিন ব্যাগে কাঁধে বারি করে উপজাতি (চাকমা) সন্রাসীরা বহন করে আনেন। খিল্লা পাড়া ও মাঝির পাড়া এলাকায়। স্থানীয় কৃষকরা জানান,পাহাড়ি সুড়ঙ্গ পথে বান্দরবানের রাজারহাট, রাঙ্গুনিয়া কমলা চডি, সুখ বিলাস এলাকায় উপজাতিদের কাজ থেকে মাদক সরবরাহ করে মন্টুর খামারে পাশের সড়ক দিয়ে মাদক আনা নেওয়া হয়। তার পর পটিয়া সহ বিভিন্ন জায়গা মাদক বিক্রি ও সাপ্লাই করে থাকেন।সুএে জানায়, শওকত মুরালীঘাট এলাকার এক শীর্ষ মাদক কারবারিকে মাদক সাপ্লাই করে। এর আগেও শওকত ফারুক বাংলা মদ সহ গ্রেপ্তার হয়েছিল। বর্তমানে তারা বীরদর্পে মাদক ব্যাবসা চালাচ্ছে। পটিয়া উপজেলায় মাদকের ভয়াবহতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে জনমনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। একদিকে মাদকের ভয়াবহতার যুবসমাজ ধ্বংস হচ্ছে অন্য দিকে তরুণ প্রজন্মের উঠতি বয়সী ছেলেরা খারাপ হচ্ছে। যার ফলে আইনশৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। নুর নবী, শওকত, ইকবাল, ফারুক কে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হলে পটিয়া মাদক ব্যাবসা কমে আসবে এমন ধারণা সচেতন মহলের।– শওগত তার ভাই ইকবাল মাদক ব্যাবসা করে এখন কোটি টাকা মালিক হয়েছেন বলে দারগা হাট এলাকায় কয়েকজন সবজি ব্যাবসায়ী জানান। শওকত ও ইকবাল এর সাথে পাহাড়ি সন্রাসীদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। যার ফলে পাহাড়ে গত কয়েকদিনে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে কৃষক অপহরণ ঘটনা মুক্তিপণ এর বিষয়টি জাতীয় স্থানীয় পএিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। ফারুক মোটরসাইকেল থাকায় রাস্তা পাহারা দিয়ে নিরবিচ্ছিন্ন মাদক পরিবহন করেন বলে স্থানীয় ব্যাবসায়ী ও কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।