পটিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে সেলিম চৌধুরী:- চট্টগ্রামের পটিয়া সাতগাছিয়া দরবার শরীফ বড় মিঞা মঞ্জিল পরিচালিত সংগঠন সূফি দর্শন গবেষণা পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সদস্য মো: ফরমান চৌধুরীর মেয়ে রহিম আক্তার চৌধুরী সরকারী মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন। সে রাউজানে হযরত এয়াছিন শাহ পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২২ সালে এস এস সি পরীক্ষার্থী রহিমা আক্তার চৌধুরী এবারের MBBS ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হওয়ায় স্কুলসহ সকলের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। এই শিক্ষার্থীর চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে তার পিতা ফরমান উদ্দিন চৌধুরী, মাতা সৈয়দা তাহারু আকতারসহ আত্মীয় স্বজন গর্বিত। বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাস বইছে তার স্কুল শিক্ষকদের মাঝে। জানা যায় ২০২৪-২৫ শিক্ষা বর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ১৭ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় (চিকিৎসা শিক্ষা ) ১৯ জানুয়ারি ফল প্রকাশ করেন। সে ফলাফলে মানিকগঞ্জ সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্যে রহিমা আক্তার মনোনীত হন। তাদের বাড়ী উপজেলার পুর্ব রাউজান রশিদাপাড়া (নুরুল হক চৌধুরী বাড়ী। এ বছর ৩৭ টি সরকারি মেডিকেল কলেজের ৫ হাজার ৩৮০ টি আসনে এবং ৬৭ টি অনুমোদিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজর ৬ হাজার ২৯৩ টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি হবে। জানতে চাইলে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থী রহিমা আকতার সোমবার দুপুরে জানান আমি ৭ম শ্রেণীতে স্কুলে পড়া কালীন বাৎসরিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে যেমন খুশি তেমন সাজো অনুষ্টানে ডাক্তারের অভিনয় করি, সেই থেকে আমার ডাক্টার হবার স্বপ্ন।আজ সে ইচ্চে পূরণ হয়েছে। তবে সকলের কাছে দোয়া চাই ভালো ভাবে পড়াশোনা শেষ করে চিকিৎসক হয়ে গরিব অসহায়সহ এলাকার মানুষকে সেবা দিতে পারি। এ প্রসঙ্গে হযরত এয়াছিন শাহ পাবলিক (বহুমুখী) উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন আমাদের শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজে চান্স পাওয়ায় আমি গর্বিত ও আনন্দিত। তিনি জানান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি গুণগত শিক্ষার মান আর মেধাবী শিক্ষার্থী গড়ে তোলতে। পটিয়া সাতগাছিয়া দরবার শরীফ বড় মিঞা মঞ্জিল পরিচালিত সংগঠন সূফি দর্শন গবেষণা পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সদস্য মো: ফরমান চৌধুরীর মেয়ে রহিমা আক্তার চৌধুরী সরকারী মেডিকেল কলেজে চান্স পাওয়ায় অভিনন্দন ও শুভকামনা করে মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করেছেন সুফি দর্শন গবেষণা পরিষদের সভাপতি বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ক্রিড়া সংগঠক পটিয়ার কৃতি সন্তান ইঞ্জিনিয়ার জসীম উদ্দিন, নির্বাহী সভাপতি বদিউল আলম, সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমিরী, ইন্জিনিয়ার জসিম উদ্দিন বলেন, মেধাবী রহিমার বাবা একজন সু-শিক্ষিত ভাল মানুষ তিনি সাতগাছিয়া দরবারে বড় মিয়া মঞ্জিলের একনিষ্ঠ ভক্ত, রহিমার দাদা মাওলানা আবদুস সালাম কাদেরী সূত্রে তারা শিক্ষিত পরিবার।সামান্য একটি ছোট ব্যবসা প্রতিষ্টান দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন রহিমার বাবা। সন্তানদের জন্যে অনেক কষ্ট করেন। তার কষ্ট আজ সফল হলো। গ্রামের প্রতিটি পরিবার তার মত এগিয়ে আসলে সমাজ দিন দিন উন্নতির দিকে যাবে এমন আশাবাদী ইন্জিনিয়ার জসিম উদ্দিন। উল্লেখ্য, রহিমা আকতার ২২সালে এস এস সি ও ২৪ সালে এইচ এসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছিল।