মোঃ আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ(নারায়ণগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ পূর্বাচল উপশহরের ৩’শ ফুট সড়ক নামে পরিচিত কাঞ্চন-কুড়িল সড়কে সিএনজি চালকদের কাছ থেকে বিআরটিসি বাসের লোকদের চাঁদা দাবী ও তাদের মারধরের প্রতিবাদে সিএনজি চালকদের বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ ও দুই পুলিশ আহতের ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রূপগঞ্জ থানার এসআই ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে ২১ জনকে নামীয় ও অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামী করে রূপগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ৫জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল ৬মার্চ বৃহস্পতিবার ভোরে রূপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে উপজেলার গুতিয়াবো এলাকার সিএনজি চালক আব্দুর রউফ, পিতলগঞ্জ এলাকার কাউসার, কাঞ্চন মায়ারবাড়ী এলাকার ফেরদৌস, আরিফ হোসেন ও বাদল মিয়া। তারা প্রত্যেকেই সিএনজি চালক। তাদের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছর। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরে পূর্বাচল ৩’শ ফুট সড়ক নামে পরিচিত কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্বরোড সড়কে চলাচলকারী বিআরটিসি বাসের ঠিকাদারদের নিয়োজিত রাকিব হাসান ও জাহিদ হাসান নামের দুই যুবক সিএনজি চালকদের কাছে প্রতি মাসে ৩হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করে আসছে। গত ১মার্চ কুড়িল এলাকায় তাদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা সিএনজি চালকরা দিতে অস্বীকার জানালে রাকিব হাসান ও জিহাদ হাসানের নেতৃত্বে ১০/১৫ সদস্যের একদল যুবক দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ৭/৮জন সিএনজি চালকদের মারধর ও তাদের সিএনজি ভাংচুর করে। বিষয়টি তারা ভুলতা-কুড়িল সড়কের বিআরটিসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। কিন্তু কোন ফল হয়নি। গত ৫মার্চ বুধবার কুড়িল এলাকায় সকাল থেকে রাকিব হাসান ও জিহাদ হাসানের নিয়োজিত যুবকরা সিএনজি চালকদের কাছে ফের চাঁদা দাবী করে। তাদের দাবীকৃত চঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় আবারো ৩/৪জন সিএনজি চালককে মারধর ও তাদের সিএনজি ভাংচুর করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বুধবার দুপুর ১টার দিকে চালকরা সিএনজি বন্ধ করে কাঞ্চন সেতুর পশ্চিম পাড়ে অবস্থান নেয়। ওই সড়কে চলাচলকারী বেশ কয়েকটি বিআরটিসি বাস আটকে যাত্রী নামিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পূর্বাচল চায়না ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করে। বিআরটিসি বাস থেকে যাত্রী নামিয়ে দেওয়ার দৃশ্য পুলিশ মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। এসময় সিএনজি চালকরা পুলিশের উপর হামলা করে। হামলায় এসআই আবু ছাইম ও কনস্টেবল বাচ্চু মিয়া আহত হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত পুলিশদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সিএনজি চালকদের হামলায় আহত পূর্বাচল চায়না পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আবু ছাইম বলেন, গাড়ী থামিয়ে যাত্রীদের নিরাপদে নামাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সিএনজি চালকদের মধ্য ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। তখন তাদের কেউ কেউ পুলিশের উপর চড়াও হয়। রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, কাঞ্চন-কুড়িল সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। গ্রেফতারকৃতদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।