মোঃ সাকিব খান মাগুরা জেলা প্রতিনিধি:মাগুরার শ্রীপুরে মুক্তা বেগম (১৮) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করছে শ্রীপুর থানা পুলিশ। সোমবার দুপুরে উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের নোহাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে মঙ্গলবার দুপুরে লাশটি ময়নাতদন্তের পর পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। গৃহবধূর পরিবার হত্যা হিসেবে দাবি করলেও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি আত্নহত্যা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চার বছর পূর্বে ঘাসিয়াড়া গ্রামের আকিদুল ইসলামের মেয়ে মুক্তা বেগমের সাথে নোহাটা গ্রামের চুন্নু শেখ সাথে বিবাহ বন্ধন হয়। চুন্নু শেখ নোহাটা গ্রামের হাসেম শেখের ছেলে। তাদের সংসারে ২ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সোমবার সকালে ঘরের আড়ার সাথে গলায় দড়ি পেছানো অবস্থায় গৃহবধূ মুক্তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ বিষয়ে প্রতিবেশী বেশ কয়েকজন জানান, প্রায়ই তাদের পরিবারে মারামারি হতো। বউ চলে যেত, আবার আসতো। বহুবার শালিশ বিচার ও হয়েছে। সকলে শুনি বউ গলায় দড়ি দিয়ে মারা গেছে।
এ বিষয়ে গৃহবধূর মা রেহেনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, মেয়েটি সেখানে শান্তিতে ছিল না। নেশাগ্রস্ত স্বামী, শ্বশুর- শ্বাশুড়ি ও ননদ প্রায় তাকে মারধর করতো। তিনদিন আগেও তারা তাকে বেধড়ক মারধর করেছে। ওর বাবা গতকাল আনতে গিয়েছিল তারা তাকেও অপমান করে তাড়িয়ে দিয়েছে। সোমবার দুপুরে ওরা আমাদেরকে মেয়ের মৃত্যুর খবর জানাই। ওরা আমার মেয়েকে মেরে ঝুঁলিয়ে রেখেছে। আমার মেয়েকে যারা হত্যা করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই।
এ বিষয়ে মুক্তা বেগমের শ্বাশুড়ি রোসনা বেগম ও ননদ হাসি বেগম বলেন, ওরা ঘরে বাড়ি প্রায়ই মারামারি করতো। পরশুদিন ও দুইজন মারামারি করে, চুন্নু বউকে মারধর করে। আমাদের বউটা খুব জেদি অভিমান করে সকালে গলায় দড়ি দিয়েছে। তাছাড়া আমরা আর কোন কিছুই জানি না।
এ বিষয় শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইদ্রিস আলী বলেন, এ বিষয়ে শ্রীপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। এবং লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।