1. [email protected] : Gk Russel : Gk Russel
  2. [email protected] : Nazrul Islam : Nazrul Islam
  3. [email protected] : pbangladesh :
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
মেয়ে ও জামাই অবৈধ ভাবে জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন আমি তোমার জম মালাকুল মউত আজরাইল, হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য বন্ধ হচ্ছে ইউরোপের দরজা নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলি, ২ বাংলাদেশি নিহত ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আইবি বাংলো’র অর্থ আত্নসাতকারী সাইফুজ্জামান চুন্নু ধরাছোঁয়ার বাইরে উদ্যমী ও অগ্রগামী মানুষদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করলো মানব কল্যাণ পরিষদ কম্বোডিয়ায় সেনা ঘাঁটিতে বিস্ফোরণে ২০ সেনা নিহত রূপগঞ্জে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত, কিশোর গ্যাং, মাদক নির্মূল ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত রূপগঞ্জে বৃষ্টি প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

বাউফলে ঢাকাগামী লঞ্চ চলাচল বন্ধ,বিপাকে যাত্রীরা

সংবাদদাতা :
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪
  • ৪৩ বার দেখা হয়েছে

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ নৌযানের যান্ত্রিক ক্রটি, সংস্কার ও যাত্রী সংকটের কারণ দেখিয়ে  পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া- নুরাইপুর- ঢাকা  নৌপথে  লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন  লঞ্চমালিকেরা। রোটেশনে এই নৌপথে ৪টি  লঞ্চ চলাচল করত। ১৫দিন ধরে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায়  বিপাকে পড়েছেন  এ নৌপথে যাতায়াতকারী  যাত্রী, ব্যবসায়ী, ঘাট ইজারাদার ও শ্রমিকেরা।

লঞ্চঘাট ইজারাদার ও শ্রমিক সূত্রে জানা যায় উপজেলার কালাইয়া, নিমদী, নুরাইপুর ও ধুলিয়া  লঞ্চঘাট থেকে প্রায়  ৫০ বছর ধরে ঢাকার সঙ্গে নৌপথে লঞ্চ চলাচল করে আসছে। বাউফল এবং  দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার যাত্রী যাতায়াত ও ব্যবসায়ীরা কম খরচে নিরাপদে পণ্য পরিবহন করে থাকেন। ঘাটগুলোতে প্রায় অর্ধশত শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পদ্মা সেতু চালুর পর যাত্রী সংখ্যা কিছু কমেছে। তারপরেও ৩০০ থেকে ৩৫০ যাত্রী নিয়মিত যাতায়াত করেন।
তবে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কোনো নিদিষ্ট কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে লঞ্চচলাচল বন্ধ করে দেন লঞ্চ মালিকেরা।  টানা ৭দিন বন্ধ থাকে লঞ্চ। এরপর  ১৬ দিন চলাচল করার পর আবারও বন্ধ করে দেওয়া হয়। সবশেষ গত ১৮ মার্চ কালাইয়া ঘাট থেকে এমভি বন্ধন-৫ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেলে আর কোনো লঞ্চ ঢাকা থেকে আসেনি। সেই থেকে  এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে।
লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় কর্মব্যস্ত ঘাট গুলোতে নিরবতা বিরাজ করছেন। নেই  কোনো হাক-ডাক। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন শ্রমিকেরা। অলস সময় কাটাচ্ছেন ইজারাদারেরা।
এই পথে চলাচলকারী যাত্রীরা জানান, শিশু, নারী ও অসুস্থ্য রোগীর জন্য লঞ্চে ঢাকা যাতায়াত নিরাপদ আরামদায়ক নৌপথ। লঞ্চ বন্ধ থাকায় এসব যাত্রীরা বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
মো. আনোয়ার নামে এক যাত্রী বলেন, আমার বাবা অসুস্থ্য। ঢাকাতে নিয়মিত  চিকিৎসকের চেকআপে নিতে হয়। লঞ্চ বন্ধ থাকায় খুব ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। অ্যাম্বুলেন্সে নিতে ব্যয় বেশি। দুঘর্টনার ঝুঁকিতো আছেই।
সোহরাব নামে আরেক যাত্রী বলেন, স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে লঞ্চে ঢাকা যাত্রা আরামদায়ক ও নিরাপদ। লঞ্চ বন্ধ থাকায় গাড়িতে যেতে হচ্ছে। এতে ব্যয়ও বাড়ছে। জার্নি করতেও কষ্ট হচ্ছে। ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরা মানুষের ইদযাত্রা নিরাপদ সহজ ও সুন্দর করতে  শীঘ্রই লঞ্চ চালুর দাবি যাত্রীদের।
ঢাকা থেকে  মুদি, পোশাক, ইলেকট্রনিক্স, ফলসহ বিভিন্ন পণ্য পরিবহন করা হত। একই সাথে বাউফল থেকে মাছসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্য কম খরচে ঢাকা পরিবহন করা হত। লঞ্চবন্ধ থাকায় বিকল্প পথে পণ্য পরিবহনে ব্যয়  বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
কালাইয়া বন্দরের পোশাক ব্যবসায়ী মো. সুমন বলেন, সামনে ইদ। ইতিমধ্যে ইদের  বেচাকেনা বাড়ছে। ঢাকা থেকে লঞ্চে পোশাক আনা সহজ ও পরিবহন খরচ কম। লঞ্চ বন্ধ থাকায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে ।
পৌর শহরের ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী শংকর সাহা বলেন,  দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা থেকে লঞ্চে মালামাল পরিবহন করে আসছি। ঢাকা থেকে লঞ্চে তুলে দিলে পরের দিন দোকানে পৌঁছে দেয় ঘাট শ্রমিকেরা। লঞ্চ বন্ধ থাকায়  গাড়িতে মালামাল আনতে হয়। অনকে সময় গাড়ির ঝঁাকুনিতে মালামাল নষ্ট হয়ে যায়।
লঞ্চ বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমিকেরা অর্থ সংকটে মানবতর জীবনযাপন করছেন তারা। কালাইয়া ঘাটের শ্রমিক সরদার মো. কালু বলেন, এখানে ১২জন শ্রমিক কাজ করনে। লঞ্চ বন্ধ, তাই কাজও বন্ধ। এতে আমার সংসার চলাতে কষ্ট হচ্ছে।
কালাইয়া লঞ্চঘাট ইজারাদার মো. শমীর হোসেন বলেন,‘ লঞ্চ বন্ধ থাকায়  ঘাট স্টাফ নিয়ে  লোকসানের মুখে পড়েছি। প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার টাকার লোকসান হচ্ছে।
নিমদী,  নুরাইপুর ও ধুলিয়া ঘাটেও একই অবস্থা। এসব ঘাটের ইজারাদারেরা বলেন, বছরের পর কোটি কোটি টাকা লাভ করে নিয়েছেন লঞ্চমালিকেরা। এখন যাত্রী কম থাকায় তারা লঞ্চ বন্ধ করে দিয়েছেন। এটা হতে পারে না। বিষয়ে সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এই রুটে চলাচলকারী এমভি ইগল লঞ্চের সুপারভাইজার মো. বাদশা মিয়া বলেন,‘ ঈগল-৮ যান্ত্রিক ত্রুটি ও ঈগল-৫ সংস্কার কাজ চলায় বন্ধ রয়েছে। কাজ শেষ হলেই লাইনে ফিরব।
আর এমভি বন্ধন-৫ লঞ্চের সুপারভাইজার মো. সজল ও এমভি সাব্বির-২ লঞ্চের সুপারভাইজার সুমন  বলেন, যাত্রী কম। যে যাত্রী হয় তাতে মালিকের লস হয়। তাই লঞ্চ বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে ইদের আগে চালু হবে। তবে, ঠিক কবে চালু হবে তা নিদিষ্ট করে বলতে পারছেন না তারা।
পটুয়াখালী নদী বন্দরের উপ পরিচালক মো. মামুন- অর- রশিদ জানান, যাত্রী কমে যাওয়ায় মলিকেরা লঞ্চ বন্ধ করে দিয়েছেন। মালিক পক্ষের সাথে কথা বলবো, যাতে ইদের আগেই লঞ্চ চলাচল সচল করা যায়।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:১৩
  • ১২:০০
  • ৪:৩১
  • ৬:২৮
  • ৭:৪৭
  • ৫:২৮
শিক্ষা তথ্য পত্রিকার কোন লেখা, ছবি বা ভিডিও কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সাইবার প্লানেট বিডি