মোঃ ফরহাদ হোসেন বাবু ৫-৩-২০২৪ চিকিৎসা নয় অর্থই যার মূল উদ্দেশ্য সেরকমই এক হোমিও চিকিৎসকের চিকিৎসায় জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাড়িয়ে আছে খুলনার তরুন সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন। খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের মোঃ ইব্রাহিমের পুত্র ইসমাইল হোসেন ২৬। মিডিয়া স্টাডিজ এর স্টুডেন্ট বর্তমানে বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসি তে কর্মরত। অল্প বয়সেই মিডিয়া জগতে পরিচিতি লাভ করেছে। কিছুদিন যাবৎ শরীরের কিছু অংশের ব্যাথা অনুভব করায় খুলনা দৌলতপুরের বোরিক হোমিও ফার্মেসির মালিক এবং চিকিৎসক জি এম এ খালেক এর কাছ থেকে গত ১৯-৭-২০২২ চিকিৎসা গ্রহন করেন ইসমাইল হোসেন। জে এম খালেক দীর্ঘমেয়াদী হোমিও চিকিৎসার প্রেসক্রিপশন করেন। দীর্ঘ ৬ মাস ঔষধ সেবনের পরে তার শরীরে এক অস্বাভাবিক যন্ত্রনাদায়ক এবং বিকৃতি প্রতিক্রিয়ার লক্ষন দেখা দেয়। দ্বিতীয়বার ঐ একই চিকিৎসকের দ্বারপ্রান্ত হলে কিছু ঔষধ পরিবর্তন করে দিলে কিছুদিন ব্যাথার উপশম হলেও কোমরের জয়েন্টে মারাত্মক পঙ্গুত্বের লক্ষন দেখা দেয়। ওঠবসের সময়ে কোমরের জয়েন্ট কট কট শব্দ হতে লাগলো, পরবর্তীতে কোমরের এবং পায়ের অস্বাভাবিক বিকৃত পরিবর্তন দেখে BSMMU হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা করাতে যান। BSMMU হাসপাতালের ডাঃ ঈসমাইল ইমনের শরীরে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষার পরে এবং পূর্ব চিকিৎসা বিষয়ে জেনে শুনে প্রতীয়মান হয় যে উল্লেখিত হোমিও চিকিৎসকের চিকিৎসা ছিলো অপচিকিৎসা এবং এক নাগাড়ে দীর্ঘদিন স্টেরয়েড সেবন করা হয়েছে। যার ফলে Avascular Nacrosis নামক রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশ বিদেশের ডাঃ দ্বারপ্রান্তে ছুটে চলছে। একমাত্র সন্তানের এমন অবস্থা দেখে বাবা-মা চিন্তিত। এবিষয়ে গত রোববার ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে খুলনা মূখ্য মহানগর আদালতে হোমিও চিকিৎসক জি এম এ খালেক কে আসামি করে গত ৩-৩-২০২৪ রোববার একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহার সূত্রে বিবাদী চিকিৎসক দীর্ঘমেয়াদীভাবে বাদী কে স্টেরয়েড সেবন করান যার ফলে ওঠা বসার সময়ে তার উরুর গোড়ায় প্রচন্ড টান লাগে এবং কোমরের জয়েন্ট প্রায় অকেজো হয়ে যায়। বাদী ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার পরে কিছুটা সুস্থ্য হয়ে বিবাদী হোমিও চিকিৎসকের সাথে দেখা করে এবং ভুল চিকিৎসা করে আমাকে প্রায় মৃত্যুর দ্বার প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। বিবাদীর অপচিকিৎসার ফলে বাদীর উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রাথমিক ভাবে তিন লাখ টাকার অধিক ব্যায় হয়েছে এবং মূল চিকিৎসা কোমরের জয়েন্টের অপারেশনে ২০ লাখ টাকার অধিক ব্যায় হবে। মামলার এজাহারে ১ কোটি টাকার ক্ষতিপূরন দাবী করা হয়েছে। ৩ মার্চ খুলনা মহানগর আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডি কে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়। একইদিনে আদালত চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে ইসমাইল হোসেন বলেন ভুল চিকিৎসায় আমার জীবন সঙ্কটাপন্ন করে তুলেছে হোমিও চিকিৎসক জি এম এ খালেক। আরও বলেন এই অল্প বয়সেও অন্যের ঘাড়ে বা ক্রেজ নির্ভর করে চলতে হয়। একমাত্র সন্তানের এই অবস্থা দেখে হতাশা প্রকাশ করছেন বাবা-মা। মানববন্ধনে উপস্থিত সকল শুভাকাঙ্ক্ষীরা ক্ষতিপুরন সহ উক্ত চিকিৎসকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন। তবে হোমিও চিকিৎসক সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি কোন ভুল চিকিৎসা করিনি।